মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ বারাকপুর পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাঘাযতীন রোডে অনুপমাদেবীর বাড়ি। তাঁর স্বামী সৌরভ পেশায় গাড়ি চালক। প্রতিবেশী বিপ্রদাস বসু ও মমতা সরকারের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের বেশ কিছু দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। বিপ্রদাস কেবল ব্যবসার পাশাপাশি বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত। সোমবার এই বিবাদ থেকে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, অনুপমাদেবীকে রাস্তায় মারধর করার পাশাপাশি তাঁর পরণের পোশাকও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, এরপর নিউ বারাকপুর থানায় গেলেও পুলিস সক্রিয় হয়নি। উল্টে মিটমাটের পরামর্শ দিয়েছিল। থানা থেকে ঘুরে আসতে না আসতেই ফের ওই মহিলাকে রাতে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে ওই মহিলা বাড়িতে একাই ছিলেন। তাঁর স্বামী সৌরভ গাড়ি চালানোর জন্য বেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গাড়ির চাবি এদিন তিনি ভুল করে বাড়িতে ফেলে গিয়েছিলেন। কিছু সময় পর তিনি বাড়িতে এসে স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পাশের নার্সিংহোমে অনুপমাদেবীকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়। তাতে লেখা রয়েছে, ‘আমার এই পরিনতির জন্য বিপ্রদাস বসু ও মমতা সরকার দায়ী।’ এই ঘটনা জানাজানি হতেই এদিন ক্ষোভ তীব্র হয়। নিউ বারাকপুর থানার সামনেও বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। মৃতার স্বামী সৌরভ
বলেন, প্রতিবেশী বিপ্রদাস ও মমতা এলাকায় বিজেপি নেতা-নেত্রী বলে পরিচিত। এরা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করছে। বাড়িতে মদের আসর বসায়। আমাদের জমি জোর করে দখল করতে চাইছিল। আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করায় সোমবার দুই দফায় রাস্তার উপর তাঁকে বিবস্ত্র করে মেরেছে। থানায় অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিস তা নেয়নি। পুলিস পদক্ষেপ নিলে আমার স্ত্রীর এই পরিণতি হতো না। এদিন সকালে গৃহবধূর মৃত্যুর খবর চাউর হতেই বাড়ি তালাবন্ধ করে চম্পট দিয়েছিল দুই অভিযুক্ত। রাতে পুলিস এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।