মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
মঙ্গলবার মেয়েকে স্কুলে পৌঁছনোর পথে সরকারি বাসের ধাক্কা একটি বাইকে। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু বাইক আরোহী এক গৃহবধূর। মৃতের নাম দেবশ্রী নস্কর মণ্ডল (২৭)। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম তাঁর স্বামী তাপস মণ্ডল (৩৮)। তিনিই বাইক চালাচ্ছিলেন। সঙ্কটজনক অবস্থায় যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। চলন্ত বাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েছিল পাঁচ বছরের শিশুটি। বরাতজোরে তার শরীরে একটি আঁচড় পর্যন্ত লাগেনি। সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ যাদবপুর থানা এলাকার এইট বি বাস স্ট্যান্ড থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। চালক সহ সরকারি বাসটি আটক করেছে যাদবপুর থানার পুলিস। তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর ট্রাফিক গার্ড ও লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগের ফেটাল স্কোয়াড। সকালের ফাঁকা রাস্তায় বাসের বেপরোয়া গতি নাকি বাইকের অসতর্কতা, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে? সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ডিসি ট্রাফিক শ্রীকান্ত জগন্নাথরাও। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, বাস, বাইক কোনও গাড়িরই গতি বেশি ছিল না। তাও কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্ত চলছে।
পুলিস সূত্রে খবর, মণ্ডল পরিবার সার্ভে পার্ক থানা এলাকার রাজাপুর (পূর্ব) এলাকার বাসিন্দা। বছর ছ’য়েক আগে তাপসবাবু ও দেবশ্রীদেবীর বিয়ে হয়েছিল। সম্প্রতি যাদবপুরের বিনোদিনী গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি হয় তাঁদের একমাত্র কন্যাসন্তান। মঙ্গলবার দু’জনে মেয়েকে স্কুলে ছাড়তে যাচ্ছিলেন। চালক ও আরোহী দু’জনের মাথাতেই হেলমেট ছিল। সুকান্ত সেতু থেকে নেমে যাদবপুর এইট বি ক্রসিং টপকানোর সময় বাস স্ট্যান্ড থেকে বের হয় বেহালা চৌরাস্তাগামী এস-৩১ রুটের বাসটি। ক্রসিং পার করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের দিকে যাচ্ছিল বাইক ও বাস। বাইকের ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাসটি। সেই সময় ধাক্কা দেয় বাইকে। ধাক্কার তীব্রতায় ছিটকে পড়েন তিনজনই। ডানদিকে পড়ে যান দেবশ্রী। তাঁর মুখের উপর দিয়ে চলে যায় বাসের পিছনের চাকা। তাপসবাবুরও মাথায় গুরুতর চোট লাগে। দেবশ্রীদেবীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। যাদবপুর থানার পুলিস শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেখানে আসেন বিনোদিনী গার্লস স্কুলের কয়েকজন অভিভাবক। এক পড়ুয়ার মা বলেন, ‘বাচ্চাটা কিছুই বুঝতে পারছে না। ওর মা যে আর ফিরবে না, তাও জানে না। একবারের জন্যও কাঁদেনি…’ কথা শেষ করতে পারেননি তিনি। তার আগেই হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন।