মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সোমবার দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। এই রায় সামনে আসার পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই এই বিরলতম অপরাধের সাজা ফাঁসি হওয়া উচিত বলেই সুর চড়িয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সরকার এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই বিষয়ে তাঁর আরও সংযোজন, যাবজ্জীবন মানেটা কী? যাবজ্জীবনে তো অনেকে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে যায়। অপরাধী বেঁচে থাকলে তো আবার অপরাধ করবে। কেউ যদি দানবিক হয়, সমাজ কি মানবিক হতে পারে? পাশবিক অন্যায় করলে তাকে আমি ক্ষমা করব কীভাবে! আর জি কর মামলায় আমরা ফাঁসি চেয়েছিলাম।
আর জি কর ঘটনার পর ৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা বিল’ পাস করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিজেপি এই বিলের বিরোধিতা না করলেও, এখনও তা রাষ্ট্রপতির সইয়ের জন্য আটকে রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়েও এদিন উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এমন জঘন্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই আমরা অপরাজিতা বিল এনেছি। ধর্ষণ, খুন, নারীদের উপর নৃশংস অত্যাচারে দোষীদের জন্য প্রাণদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে এই বিলে। বিধানসভায় তা পাশও হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র বিলটা আটকে রাখায় কার্যকর করা হচ্ছে না।
এই অপরাজিতা বিল আইনি রূপ পেলে গোটা দেশেই তা দৃষ্টান্ত হবে বলে মনে করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তৃণমূল মহিলা শাখার পক্ষ থেকে ‘চাই সত্বর, অপরাজিতায় স্বাক্ষর’ সংক্রান্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। আামী দিনেও তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন তাদের কর্মসূচিতে ‘অপরাজিত বিল’ নিয়ে আওয়াজ তুলতে চলেছে। আর সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা নিয়ে বিরোধীদের চড়া সুরে নিশানা জারি রেখেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবারও তৃণমূলের একাধিক নেতার স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলা নিয়ে কিছু বলবার আগে বিজেপি উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের দিকে তাকাক। বাংলার পুলিস প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শেষ করে গুড়াপসহ একাধিক ঘটনায় দোষীর ফাঁসির সাজা আদালত থেকে আদায় করে এনেছে। সেখানে সমাজের দাবি থাকলেও, সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সিবিআই ব্যর্থ। তাই বাংলার বিরুদ্ধে বিজেপি যত অপপ্রচার করবে, তত তাদের ভোট কমবে। আগামী দিনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে তৃণমূল তুলে ধরবে, বাংলার পুলিসের সাফল্যের কাহিনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি, সিবিআই কীভাবে ব্যর্থ হচ্ছে, তারও উল্লেখ থাকবে তাতে।