মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
তদন্তে প্রকাশ, এক দালালকে ধরেই আব্দুল ভারতে ঢোকে। অতঃপর আধার, প্যানসহ বিভিন্ন নথি তৈরি করে পাকাপাকিভাবেই এখানে থাকতে শুরু করে সে। এখানে সে প্রথমে নিষিদ্ধ মাদকের কারবার শুরু করে। সে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার থেকে গাঁজা, হেরোইন প্রভৃতি কিনে পাচার করত বাংলাদেশে। এমনকী বিহারেও যাতায়াত শুরু হয় তার। সেখানকার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারিদের সঙ্গে দোস্তি গড়ে ওঠে আব্দুলের। ওই সুযোগে সে নেমে পড়ে অস্ত্রের কারবারেও। বাংলাদেশে থাকাকালে স্থানীয় একাধিক অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচিত হয় আব্দুল। করণদিঘিতে বসে সে সীমান্তের ওপারে ছোটখাট আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করত। ওইসঙ্গেই ভুয়ো নথি তৈরি করতে শুরু করে সে। অবৈধভাবে সীমান্ত পেরনো বাংলাদেশিরা দালাল মারফত তার কাছে আসত। স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে তাদের ভোটার কার্ড তৈরি করে দিত আব্দুল। এরপর আধার, প্যানসহ অন্যান্য সরকারি নথিও তৈরি করে ফেলার ম্যাজিক চলে আসে তার হাতের মুঠোয়। জাল নথি তৈরির কারবার ফেঁদে ফেলে সে নিজেই!
তার হাত ধরে এখনও পর্যন্ত কতজন এমন ভুয়ো নথি পেয়ে গিয়েছে, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছেন, বাংলাদেশে খুন বা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। সীমান্ত পেরিয়ে তাদের এদেশে আনা এবং এখানে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল আব্দুল। তার মাধ্যমে এদেশে ঠাঁই পাওয়া প্রত্যেকেরই ভারতীয় নথি রয়েছে। এই অপরাধীরা এখানে বসেই বাংলাদেশে অপরাধমূলক কাজকর্ম করে বেড়াচ্ছিল বলে খবর। হাসিনা সরকারের পতনের পর এদের মধ্যে অনেকেই ফিরে গিয়েছে তাদের নিজ দেশে। খোঁজখবর শুরু হয়েছে তাদের সম্পর্কে। পাশাপাশি, আদালত থেকে পালানোর জন্য সাজ্জাক যে আগ্নেয়াস্ত্রটি ব্যবহার করেছিল, সেটি তাকে দিয়েছিল আব্দুল। অস্ত্রটি আব্দুল পেয়েছিল কোথা থেকে? ধৃতকে জেরা করে সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।