বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
তদন্তকারী আধিকারিক সূত্রে খবর, নির্যাতিতা ও সৃঞ্জয় দু’জনেই সাউথ পয়েন্ট স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়া। ওই তরুণীর থেকে সৃঞ্জয় দু’বছরের সিনিয়র। স্কুল জীবনের পর তাঁদের মধ্যে আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। বর্তমানে শহরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেন ওই তরুণী। তাঁর বয়স ২০ বছর। অন্যদিকে, পার্ক স্ট্রিটের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ছাত্র সৃঞ্জয়। সম্প্রতি তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ফের যোগাযোগ হয়। তরুণীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের একটি পোস্ট দেখে মেসেজ করেন ওই যুবক। সেখান থেকেই দু’জনের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। চলতি বছরের শেষে কসবার একটি শপিংমলে তাঁরা দেখাও করেন। এরপর থেকে তাঁদের যোগাযোগ আরও বাড়ে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিস। এরপরই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়।
পুলিস জানিয়েছে, তরুণীর বাড়ি গরফা থানায় এলাকায়। তাঁর বাড়ির কাছেই এক বন্ধু থাকেন। ঘটনাচক্রে তিনি সৃঞ্জয়েরও বন্ধু। গত ২১ ডিসেম্বর সেই ‘কমন ফ্রেন্ডের’ বাড়িতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত। অভিযোগ, সেখানেই প্রথমে মদ্যপান করানো হয় তরুণীকে। নির্যাতিতার দাবি, এরপরই আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে ধর্ষণ করে সৃঞ্জয়। রাত ১০টা ০৫ মিনিট থেকে পৌনে ১১টার মধ্যে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরে রাতেই নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন তরুণী। বর্ষশেষের রাতে গরফা থানার দ্বারস্থ হন তিনি। সৃঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ও ১২৩ ধারায় মাদক খাইয়ে ধর্ষণের মামলা রুজু করে গরফা থানার পুলিস। এরপরই বাগুইআটিতে অভিযুক্ত সৃঞ্জয়ের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ওই ছাত্রকে। লালবাজার সূত্রে খবর, আজ, বুধবার আলিপুর আদালতে অভিযুক্তকে পেশ করা হতে পারে। ২১ তারিখের ঘটনা হলেও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার কারণে তরুণী ১০ দিন পর অভিযোগ করেছেন। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতা তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছে পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২১ ডিসেম্বরে ঘটনার সময়ে তরুণীর পরনের পোশাক। ঘটনাস্থল থেকে বিছানার চাদর সহ বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের ওই ‘কমন ফ্রেন্ড’কে। পুলিস জেনেছে, ওই বন্ধুর দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে। গল্প করার জন্য বন্ধুর থেকে ফ্ল্যাটের চাবি নিয়েছিল সৃঞ্জয়। এরপরই সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের পর দায়িত্ব নিয়ে পুলিস কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ উঠলে ‘জিরো টলারেন্স’ রাখতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে পুলিস।