বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, ইকো পার্ক, জাদুঘর, ময়দান চত্বরে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের সামনে দুপুর থেকে পুলিসি তত্পরতা নজরে পড়ল। দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে মানুষকে নিরাপদে রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন উর্দিধারীরা। বর্ষবরণের রাতে নিরাপত্তার প্রশ্নে যাতে কোনও ফাঁকফোকর না থাকে, তার জন্য সদা তৎপর ছিল পুলিস। সাড়ে চার হাজার পুলিসকর্মী এদিন পথে ছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে কলকাতা পুলিস আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, মদ্যপ চালক বা হেলমেটবিহীন বাইকারদের মতো আইনভঙ্গকারীদের জন্য প্রস্তুত থাকবে ‘ডিজে ট্রাফিক কপস’। তারা যেন পুলিসের ‘অতিথি’ হওয়ার চেষ্টা না করে! তবে এ যে স্রেফ কথার কথা নয়, এদিন দুপুর থেকে পুলিসি তৎপরতা সেই প্রমাণ দিয়েছে। রাত ১২টা পর্যন্ত শহরের রাস্তার অভব্যতার অভিযোগে ১৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১২ লিটার মদ।
‘একটুও ঘাম হচ্ছে না। মনোরম ঠান্ডা। রোদটাও ভালো লাগছে’—ভিক্টোরিয়ার সামনে চিনেবাদাম কিনতে কিনতে বলছিলেন উল্টোডাঙার রাজর্ষি হালদার। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সকালেই বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। ফ্লাস্কে চা, হটপটে রুটি-মাংস নিয়ে বহু মানুষ সপরিবারে এসেছিলেন ময়দান চত্বরে। আশপাশে চার্চ, তারামণ্ডল, নন্দন, মিলেনিয়াম পার্ক ইত্যাদি জায়গা ঘুরে ময়দানে ঘাসের উপর বসেই তৃপ্তির ভোজ সেরেছেন তাঁরা। প্রিন্সেপ ঘাট, গঙ্গার পাড় এমনকী ময়দান থেকেও বছর শেষের সূর্যাস্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন হাজার হাজার মানুষ। বন্ধুদের সঙ্গে পার্ক স্ট্রিটে এসেছিলেন গড়িয়ার সঞ্চয়িতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলছিলেন, ‘পুজোর সময় একটা দিন আর বছরের এই শেষ দিনটা বাইরে থাকতেই ভালো লাগে।’