বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
ওষুধ ও ইঞ্জেকশন আনা হয়েছিল শহরে। ওই পাইকারি সংস্থার কাছে না ছিল ইমপোর্ট লাইসেন্স, না ছিল ড্রাগস কন্ট্রোল জেনারেল ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই-এর ছাড়পত্র। সূত্রের খবর, বেশ কিছু ভেজাল অ্যান্টি ক্যান্সার ইঞ্জেকশনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলির প্রতিটি অ্যাম্পুলে দাম লেখা আছে ১ লক্ষ টাকা! একটি অনলাইন বিপণিতে রীতিমতো অ্যাকাউন্ট খুলে বেআইনি কারবার ফেঁদেছিল তারা। ক্রেতাদের সুস্থ করার প্রলোভন দেখিয়ে বিক্রি করছিল ওষুধ। কিন্তু সেগুলি যে মানবশরীরে ব্যবহারের উপযুক্ত, সেই ক্রিটিক্যাল ট্রায়ালের ছাড়পত্র ছিল না।
ঘটনার খবর জানাজানি হতেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে রোগীমহলে। তাঁদের বক্তব্য একটাই, কে বলতে পারে, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে কিনে যে ওষুধ খাচ্ছি, সেটা জাল নাকি জেনুইন! রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) অফিসারদের সঙ্গে ওই হানায় আমাদের আধিকারিকরাও ছিলেন।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১৭ এবং ১৮ ডিসেম্বর ওই হানা চলে। এরপরই ওই পাইকারি ওষুধের দোকানের মালিক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালত সময় দেওয়ার পরও তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রতিপন্ন করতে পারেননি। এরপরই রিজেন্ট পার্ক নিবাসী ওই মহিলাকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে পেশ করা হলে তাকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দু’দিন ধরে রাজ্যের সঙ্গে যৌথ হানা চলেছিল ‘এম/এস কেয়ার অ্যান্ড কিওর ফর ইউ’ নামের ওই পাইকারি দোকানে। বিপুল পরিমাণে আটক ওই ভেজাল ওষুধের কিছুটা নয়ডা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকিটা কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বা সিডিএসসিও নিজেদের হেপাজতে রেখেছে। -নিজস্ব চিত্র