বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
আন্দুলের মহিয়ারী চূড়ামণি পাড়ায় রয়েছে এই ছাপাখানাটি। নাম, ‘কোয়ালিটি আর্ট প্রিন্টার্স’। একসময় রমরমিয়ে চলত এটি। তখনও ডিজিটালের নাম শোনেনি মানুষ। বাংলা ও ইংরেজি নতুন বছরের আগে ভিড় জমে যেত। সে যুগ নেই। এখন ফোর কালার অফসেটের রমরমা। তাই শহরের ছোট ছোট ছাপাখানাগুলির মতো ধুঁকছে কোয়ালিটিও। তবে বাবার পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন শ্রীকুমারবাবু। জানালেন, ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের তুলনায় এখানে ক্যালেন্ডার ছাপানোর খরচ কম। তাই এবারও পুরনো অনেক খদ্দের এসেছিলেন ক্যালেন্ডার ছাপানোর বরাত দিতে। তিনি বলেন, ‘বছরের এই সময় যেটুকু যা কাজ হয়। তাতেই কোনওমতে চলছে। এখন পুরনো রীতির প্রিন্টিংয়ের কাজ শিখছেন না কেউ। ফলে কর্মীর অভাব। তাছাড়া ছাপার অনেক জিনিসও আর পাওয়া যায় না।’ জানা গিয়েছে, ছাপার জন্য যে অক্ষরের ‘ছাঁচ’ বা ‘টাইপ’ তা আর মেলে না। কিছু জায়গায় শুধুমাত্র ব্লক পাওয়া যায়। শ্রীকুমারবাবুর বক্তব্য, ‘এই রাজ্য ছাড়া ভারতের আর কোথাও এই ধরনের পুরনো মেশিন দিয়ে ছাপার কাজ হয় না। এর তুলনায় ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের খরচ প্রায় দ্বিগুণ।’
এর পাশাপাশি প্রায় ৩০ বছর ধরে পুরনো রীতিতে ছাপাখানা চালাচ্ছেন নন্দীগ্রামের অশোক দাস। তাঁর উপরও ডিজিটালের দাপট আছড়ে পড়েছে। তাই পেট চালাতে ভিন রাজ্যে গিয়ে ক্ষুদ্রশিল্পের কাজ করতে হয় তাঁকে। আর নতুন বছরের আগে ছাপাখানার কাজের টানে ফিরে আসেন গ্রামে। আন্দুলের কোয়ালিটি ছাপাখানাতেই তাঁর হাতেখড়ি। অশোকবাবু বলেন, ‘এখন তো বছরে শুধু তিন মাস এই কাজ থাকে। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে যেতে হয়। এখন ডিসেম্বরের শুরু থেকে শেষ একটানা ছাপার কাজ করতে হয়। পয়লা জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ডেলিভারি। জানি না এই ব্যবসা কতদিন চলবে।’ হয়ত কোনও এক নতুন বছরই বন্ধ হয়ে যাবে ছাপার কাজ। দিন ঘনিয়ে আসছে, আশঙ্কায় ছাপাখানার বাকি কর্মীরাও।-নিজস্ব চিত্র