বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
বারাসত থেকে সড়কপথে কলকাতায় যাওয়ার সহজ মাধ্যম হল যশোর রোড। যথেষ্ট চওড়া এই রাস্তা। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশ দিয়ে গিয়েছে সার্ভিস রোড। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষ সাইকেল, মোটর বাইক, অটো কিংবা টোটোয় করে নিত্য চলাচল করে। সকালের দিকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গেলেও দুপুরের পর যাতায়াত করাই দায়। কারণ, রাস্তা দখল করে বসে রকমারি দোকান। সন্ধ্যার পর বদলে যায় এই রাস্তার চেহারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শীতের সময় এই দোকানগুলিতে অল্পবয়সি ছেলেমেয়েদের আড্ডা বাড়ে। রাত বাড়লে বসে যায় নেশার আসর। মদ, গাঁজার গন্ধে তখন ম ম করে এলাকা। এর পাশাপাশি গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি পার্কিংয়ের সমস্যা। যেখানে সেখানে বাইক পার্কিং করে রাখায় সার্ভিস রোডে যানজট তৈরি হয়। ফলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মাইকেলনগর, সুকান্তনগর, গ্রিন পার্ক এলাকায় সার্ভিস লেনে দিন কে দিন দোকানের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাস্তা দখল। মুখ্যমন্ত্রী রাস্তা দখলমুক্ত করার কথা বললেও এখানে সে সবের বালাই নেই।
মাইকেলনগরের বাসিন্দা আশিস দাস বলেন, রাতে এমন অবস্থা হয় যে, বাইক নিয়েও যাতায়াত করাই মুশকিল হয়ে ওঠে। চা, ফাস্ট ফুড সহ বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী দোকান বসে। রাত হলে রাস্তা দখল করেই চলে পার্কিং। সাধারণ মানুষ সহজে যেতে পারেন না। পেশায় আইটি কর্মী সরমা পুরকায়স্থ বলেন, জাতীয় সড়কের পাশে সার্ভিস রোড যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তা বেদখল হয়ে গিয়েছে। যেভাবে রাস্তার উপর বাইক বা গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়, তাতে হেঁটে যাওয়াই অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে। এর বিহিত করা প্রয়োজন। এ নিয়ে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, মানুষের এই অভিযোগ সত্য। এ নিয়ে আমরা এয়ারপোর্ট থানা ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে লিখিত দিয়েছি। এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে তারাই। পুরসভা তাদের সহযোগিতা করতে পারে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন রাস্তা দখলমুক্ত করতে।