পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, আমাদের মূলত দু’ধরনের পাইপলাইন রয়েছে। একটি ছয় ইঞ্চি এবং অন্যটি চার ইঞ্চি ব্যাসের। কোন রাস্তার নীচ দিয়ে কত ইঞ্চির পাইপ সরবরাহ হয়েছে, তার একটি পুরনো ম্যাপ রয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেটির তথ্যের একাধিকবার সংযোজন-বিয়োজন হয়। সেই পরিবর্তনের কোনও পুনঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য পুরসভার হাতে নেই। তাই মোটামুটি একটি ‘ফুলপ্রুফ’ মানচিত্র বানানো হচ্ছে। প্রতিটি রাস্তা মেপে বুঝে নেওয়া হবে তার তলায় কত ইঞ্চির জলের পাইপলাইন রয়েছে। ভালভগুলি পরীক্ষা করা হবে। সেই রাস্তার ধারে ক’টা কল রয়েছে, ওখানে ক’টি বাড়িতে জলের সংযোগ চালু আছে, কতগুলি বস্তিতে কত সংখ্যক কল আছে, সেখানে কোন বুস্টার পাম্পিং স্টেশন রয়েছে কিংবা কোন বুস্টার থেকে সেখানে জল সরবরাহ করা হয়, সবটাই নথিভুক্ত করা হবে। তারক সিং বলেন, ‘নিকাশির ক্ষেত্রে ডিজিটাল ম্যাপ রয়েছে। সেটিকে কম্পিউটার স্ক্রিনে এক ক্লিকে দেখেই নেওয়া যায়। সেভাবেই জলের ক্ষেত্রেও এমন একটি ডিজিটাল ম্যাপ বানানো হচ্ছে। আগামী দিনে তার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতের উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করা যাবে। যদি কোথাও চার ইঞ্চির বদলে ছয় ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ বসাতে হলে কিংবা কোথাও নতুন বুস্টার তৈরি হলে সেখানে জলের চাপ বাড়ানো যাবে, সে সবই এই ম্যাপের নিরিখে করা যাবে।’
পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, বিভিন্ন নিম্নবিত্ত এলাকায় একাধিক ঘরের জন্য একটি বা দু’টি কলের বদলে ঘরে ঘরে জলের লাইন দেওয়া হবে। রাস্তার ধারে কিংবা এলাকার মধ্যে চাতাল করে তৈরি হওয়া কলগুলি তুলে দেবে পুরসভা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাস্তার ধারে থাকা কলগুলি থেকে জল বেশি অপচয় হয়। এলাকার বাসিন্দারা কলের ট্যাপ বা মুখ ভেঙে ফেলেন। বার বার তা মেরামত করতে হয়। এমন অঞ্চলে ঘরে ঘরে জলের লাইন করে দেওয়া হলে নিজের বাড়িতে থাকা কলের মুখ কেউ আর ভাঙবেন না, অপচয়ও কমবে।