পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
হাওড়া জেলা হাসপাতালের মূল গেট দিয়ে ঢুকলে সামনেই পড়ে ছ’তলা এস এন দাস ভবন। এই ভবনে জরুরি বিভাগ ছাড়াও রয়েছে পুরুষ ও মহিলাদের মেডিসিন, সার্জিক্যাল, প্রসূতি ও শিশুরোগ বিভাগ। রয়েছে আউটডোরও। সকাল থেকেই একতলায় আউটডোর শতাধিক রোগীর ভিড়ে গমগম করে। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই রোগীকে নিয়ে বিল্ডিংয়ের বাইরে অপেক্ষা করেন। উপরের তলায় ইন্ডোর। সেখানে ভর্তি থাকা রোগীদের আত্মীয়দেরও বিল্ডিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। হাসপাতাল চত্বরে যেখানে সেখানে গজিয়ে উঠেছে বাইক ও সাইকেলের বেআইনি পার্কিং। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সের ভিড় তো লেগেই রয়েছে। বর্তমানে রোগীর পরিজনদের অপেক্ষা করার জায়গাটুকুই নেই।
এস এন দাস (মেইন) বিল্ডিংয়ের সামনে ছোট একটি অংশে বসার জায়গা থাকলেও সেখানে শেডটি দীর্ঘদিন আগেই ভেঙে গিয়েছে। এরপর ওই শেড আর মেরামত করা হয়নি। ফলে খোলা আকাশের নীচেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হয় রোগীর পরিজনদের। রাতে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কেউ কেউ আশ্রয় নেন হাসপাতালের পিছনের অংশে নিউ বিল্ডিংয়ের শেডের নীচে কিংবা মর্গের কাছে।
ইন্ডোর বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদের পরিজনদের বক্তব্য, ‘শীতকালে দিনের বেলায় অন্তত বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করা যায়। কিন্তু রাতে ভীষণ সমস্যা হয়। মশার কামড়ে থাকা যায় না। মাথার উপর শেড থাকলে ঠান্ডা থেকে অন্তত কিছুটা রেহাই পাওয়া যেত।’ হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের কথায়, বর্ষাকালে সব থেকে বেশি সমস্যা হয়। তখন মেইন বিল্ডিংয়ের একতলায় আউটডোর ও মেডিসিন বিভাগে রোগীর পরিজনরা ঢুকে পড়েন। স্বাভাবিকভাবেই পরিষেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খান চিকিৎসক, নার্সরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেইন বিল্ডিং সংস্কারের সময় নতুন প্রতীক্ষালয় তৈরির চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। সংস্কারের কাজে সময় লাগার কারণে প্রতীক্ষালয় তৈরিতেও দেরি হচ্ছে। হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ কিশলয় দত্ত বলেন, ‘এটা ঠিক যে, জেলা হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের বসার জায়গা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। যাতে প্রতীক্ষালয় তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।’