পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
প্রৌঢ়া রমা মণ্ডল সকাল ৬টার সময় বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। রাত ৩টে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে সংসারের দৈনন্দিন কাজকর্ম সেরেছেন। তারপর রান্নাবান্নার পাট চুকিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন মমতাকে দেখার জন্য। গায়ে চাদর জড়িয়ে মঞ্চের একেবারে সামনে এসে বসেছেন তিনি। বললেন, ‘এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলাম। সন্দেশখালি থাকবে মমতার জন্যই।’ পাশে বসেছিলেন মাঝবয়সি গৃহবধূ কল্পনা হাজরা। তাঁর বক্তব্য, ‘কথা দিয়েছিলেন, কথা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা দিদির কাছে কৃতজ্ঞ এভাবে আমাদের পাশে থাকার জন্য। ওঁকেও আমরা কথা দিচ্ছি, আমরা আর কারও কথায় প্রভাবিত হচ্ছি না। আমরা দিদির পাশেই আছি।’ সভাস্থলে ভিড়ের মধ্যে বারবার ঘুরেফিরে এসেছে লোকসভা ভোট ও তার আগে কয়েকমাস অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। সেই সময় সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ভূরিভূরি অভিযোগ সামনে এনে লোকসভার ভোটে ফায়দা লোটার চেষ্টায় খামতি রাখেনি বিজেপি। কিন্তু দু’টি ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর বিজেপির গোপন এজেন্ডা ফাঁস হয়ে যায়। সন্দেশখালি গ্রামের বাসিন্দা জ্যোৎস্না মণ্ডল বলেন, ‘মহিলাদের অপমান করেছে বিজেপি। এত খারাপ দল আর একটিও নেই। ওই দল মহিলাদের অপমান করে ভোটে জিততে চেয়েছিল। কিন্তু গ্রামের মহিলারাই ওদের জবাব দিয়েছে। বিজেপির নোংরা রাজনীতির সঙ্গে আমরা নেই।’
মমতা যখন সন্দেশখালির মাটিতে পা রাখছেন, তখন শোনা গেল নারী বাহিনীর গর্জন—‘দিদি...আমরা আছি তোমার সঙ্গে।’ এই জনগর্জনের আভাস অবশ্য মিলেছিল সাতসকাল থেকেই। ধামাখালি ফেরিঘাটে কাকভোর থেকে মহিলাদের ভিড়। নদী পেরিয়ে মমতার সভায় যাওয়ার জন্য তোড়জোড়। রাস্তার কাতারে কাতারে মানুষ। মিছিল করে তাঁরা গিয়েছেন সভায়। ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের অনুদান পেয়ে ডিসেম্বর মাসে বিবাহিত জীবনে পা রেখেছেন রত্না দাস। তিনি বললেন, ‘পরিবার নিয়ে সুখে থাকব। বিজেপির পতাকা হাতে নেব না। কারণ আমরা জানি, আমাদের পাশে আছেন দিদি।’
‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সন্দেশখালির মা-বোনেদের ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। যাওয়ার আগে তিনি স্লোগান তুলেছেন, ‘সন্দেশখালি জিন্দাবাদ।’