চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
লিজ পুনর্নবীকরণের খরচ কীভাবে এতটা কমে আসা সম্ভব? বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যাচ্ছে, এই খরচ হিসেব করতে হবে দু’রকম পদ্ধতিতে। তার মধ্যে যে হিসেবে কম আসবে খরচ, সেটাই চূড়ান্ত করা হবে। ব্যবসায়িক কাজের জন্য ৩০ থেকে ৯৯ বছরের দীর্ঘমেয়াদী লিজে দেওয়া জমির ক্ষেত্রে প্রথমে দেখা হবে, আগের বার্ষিক ভাড়া বা খরচের ৫০ গুণ টাকা কত হচ্ছে। তারপর দেখা হবে সংশ্লিষ্ট জমির বর্তমান বাজারদরের চার শতাংশ কত টাকা হচ্ছে। দু’টির মধ্যে যে হিসেবে টাকা কম হবে, সেটাই নতুন বার্ষিক ভাড়া হিসেবে চূড়ান্ত হবে। এর আগে জমির বাজারদরের চার শতাংশ হারে বার্ষিক ভাড়া ধার্য হতো। আধিকারিকরা হিসেব কষে দেখেছেন, গত ৩০ বছরে জমির বাজারদর যে হারে বেড়েছে, তাতে আগের নিয়ম বলবৎ থাকলে বার্ষিক ভাড়া কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। বহু শিল্প সংস্থার ক্ষেত্রে যা বহন করা সম্ভব হয়ে উঠছিল না। ভাড়া না দিলে রাজ্যের কোষাগারে তার প্রভাব এসে পড়বে। তাই আগের ভাড়ার ৫০ গুণ হিসেব করে দেখার পর যেটি কম হবে, সেই টাকাই বার্ষিক ভাড়া ধার্য করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। দীর্ঘমেয়াদী লিজগুলির ক্ষেত্রে ভাড়া যেহেতু অনেক কম, তাই তার ৫০ গুণ টাকাও বাজারদরের চার শতাংশের অনেক কম হবে। উদাহরণ দিয়ে রাজ্যের এক আধিকারিক বলেন, ‘একটি সংস্থার ক্ষেত্রে আগের নিয়মে লিজ পুনর্নবীকরণের খরচ দাঁড়াচ্ছিল প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কিন্তু তাদের বার্ষিক ভাড়ার ৫০ গুণ করলে দাঁড়াচ্ছে মাত্র সাড়ে আট কোটি টাকা। দু’টির মধ্যে যেটি কম, সেটাই বার্ষিক ভাড়া। ফলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার জমির লিজ পুনর্নবীকরণ বাবদ খরচ অর্ধেকেরও বেশি কম হচ্ছে।’ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ব্যবসায়িক কাজে নেওয়া জমির ক্ষেত্রে বার্ষিক ভাড়ার ৫০ গুণ ধরে হিসেব হলেও শিল্পের জমির ক্ষেত্রে ৩০ গুণ হিসেবে নির্ধারিত হবে নতুন বার্ষিক ভাড়া। ওই আধিকারিক জানান, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড অ্যান্ড ল্যান্ড রিফর্মস ম্যানুয়াল’-এ সংশোধনী এনেই নতুন নিয়মটি চালু করেছে রাজ্য সরকার।