নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: তপসিয়ার পর এবার নিউ আলিপুর। শীতের সন্ধ্যায় ফের শহরে অগ্নিকাণ্ড। শনিবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে নিউ আলিপুরের দুর্গাপুর ব্রিজের নীচের বস্তিতে। একাধিক ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। আগুন-আতঙ্কে দুর্গাপুর ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্রিজের উপর থেকে দমকলের গাড়ি জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও জায়গাটি ‘কুলিং’ করতে আরও সময় লাগে। রেললাইন লাগোয়া বস্তি হওয়ায় শিয়ালদহ-বজবজ শাখার ট্রেন চলাচলও এই ঘটনার জেরে ব্যাহত হয়। আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায় সেনাও। ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার, স্থানীয় কাউন্সিলার জুঁই বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, বস্তির কোনও ঘরে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। সেখানেই কোনওভাবে আগুন লেগে যাওয়ায় দ্রুত তা বড় আকার নেয়। কাউন্সিলার জুঁইদেবী বলেন, ‘রেলের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বস্তি গড়ে উঠেছিল। বাসিন্দাদের আধার, ভোটার বা কোনও পরিচয়পত্রের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। পরে দফায় দফায় মোট ১৬টি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। পাশেই রয়েছে সেনার ক্যাম্প। সেখান থেকে ছুটে আসেন জওয়ানরা। আগুন নেভানোর কাজে দমকলকে সাহায্য করেন তাঁরা। ব্রিজের নীচে রাস্তা অপরিসর হওয়ায় দমকলের গাড়ি ঢোকাতে বেগ পেতে হয়। বেশ কিছুটা দূর থেকে পাইপ টেনে নিয়ে গিয়ে জল দেওয়া হয় অকুস্থলে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তবে দুর্গাপুর ব্রিজের উপর থেকেও জল দেওয়ায় আরও বড় বিপত্তি ঘটেনি। এই ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার খবর মেলেনি। তবে ঘটনার জেরে নিউ আলিপুরের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। কীভাবে আগুন লাগল, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু হয়েছে। নিজস্ব চিত্র