যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
বেশি রাতেও মেট্রো পরিষেবা চালু থাকুক—এই দাবি দীর্ঘদিনের। কলকাতার মতো বড় শহরে একটু বেশি রাত হলে কেন মেট্রোরেলের পরিষেবা পাওয়া যাবে না, সেই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। আদালত বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই। তাকে মান্যতা দিয়ে সোমবার থেকে শুক্রবার রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে দিনের শেষ মেট্রো চালাতে শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এই সময় কবি সুভাষ এবং দমদম স্টেশন থেকে মেট্রো ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই পরিষেবা এখনও চালু রয়েছে। অন্যান্য দিনে দক্ষিণেশ্বর ও কবি সুভাষ থেকে দিনের শেষ মেট্রো ছাড়ে রাত ৯টা ২৮ মিনিটে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, নির্দিষ্ট গন্তব্যের টিকিটের যা দাম, শেষ মেট্রোর ক্ষেত্রে তার সঙ্গে আরও ১০ টাকা যুক্ত হবে। ‘সারচার্জ’ হিসেবে এই টাকা নেওয়া হবে যাত্রীদের থেকে। অর্থাৎ, বেশি রাতে পরিষেবার জন্য যে আর্থিক ‘ক্ষতি’ হবে মেট্রোর, তা তারা এভাবেই উশুল করবে। যাত্রীদের প্রশ্ন, একই দূরত্ব যাওয়ার জন্য এভাবে দু’ধরনের ভাড়া কীভাবে নেওয়া সম্ভব। এ তো সম্পূর্ণ আজব নিয়ম! তাছাড়া, বাড়তি টাকা যদি দিতেই হয়, তাহলে কেন আরও বেশি রাত পর্যন্ত পরিষেবা চালু থাকবে না? ১০ টা ৪০ মিনিটের মেট্রো কেন দমদমের বদলে প্রান্তিক স্টেশন দক্ষিণেশ্বর থেকে ছাড়বে না, সেই প্রশ্নও উঠছে।
প্রসঙ্গত, রাত ১০টা ৪০ মিনিটের মেট্রো ধরতে গেলে যাত্রীদের স্মার্ট কার্ড বা ইউপিআইয়ের মাধ্যমে পেমেন্টের ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক। কারণ, ওই সময় সমস্ত মেট্রো স্টেশনের টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়। এই বিষয়টি নিয়ে এমনিতেই যাত্রীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের শেষ নেই। তার মধ্যে শেষ মেট্রোর ভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত তাদের অসন্তোষকে আরও তীব্র করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নানা কারণে দেশের প্রথম মেট্রো রুট এখন মোটা অঙ্কের লোকসানে চলে। পরিষেবার মান, রক্ষণাবেক্ষণ সহ একাধিক ক্ষেত্রে মেট্রো কর্তৃপক্ষের পেশাদারিত্ব নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। এই আবহে সারচার্জের বোঝা যাত্রীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া আসলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের পেশাদারিত্বের অভাবের আরেক নজির বলে মনে করছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।