যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
দলীয় সংগঠনকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। গত ২৫ নভেম্বর কালীঘাটে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঠিক তার সাত দিনের মাথায় দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করলেন মমতা। এদিন বিধানসভায় নৌসের আলি কক্ষে এই বৈঠক হয়। সেখানেই সংগঠনের রাশ নিজের হাতে নিয়ে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনিই শেষ কথা। পাশাপাশি তাঁর বার্তা জায়গা মতো পৌঁছনোর জন্য দায়িত্বভার বণ্টন করে দিয়েছেন মমতা। বিধায়কদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। সূত্রের খবর, মমতা বৈঠকে বলেছেন, ‘আমার কথা ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানিয়ে দেবেন অরূপ। আর আমার পরামর্শ মতো দলের নির্দেশ ও কর্মসূচি জানিয়ে দেবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।’ আগামী দিনে দলের ছাত্র ও যুব সংগঠন যে ঢেলে সাজবে, সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। ফলে ছাত্র ও যুব শাখায় রদবদল হচ্ছে—তা সহজেই অনুমেয়। এছাড়াও বৈঠকে মমতা বলেছেন, বিধায়করা প্রশ্নোত্তরের বিষয়ে জানবেন বর্ষীয়ান মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার থেকে। কোনও প্রস্তাব থাকলে জমা দেবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। বিধায়কদের এলাকার প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। বৈঠকে মমতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে। তাঁকে মমতা বলেন, ‘নারায়ণ! তুমি নিজের এলাকা দেখ। অন্য এলাকা দেখতে হবে না। আর কয়েকজন মন্ত্রী ও বিধায়ক বেশি কথা বলছেন। তাঁরা কথা না বাড়িয়ে নিজের এলাকার দিকে নজর দিন।’