যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
কলকাতার দূষণ নিয়ন্ত্রণে মেয়র ফিরহাদ হাকিম দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সাহায্য চেয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘কলকাতার জন্য সব থেকে বড় বিপদ সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক। পর্ষদকে বলেছি, এ নিয়ে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিন। পুরসভাকে দায়িত্ব দিয়ে দিলাম, কিছুদিন প্রচার করল, তারপর যে কে সেই। রাস্তা ভরে যাচ্ছে। জল জমে যাচ্ছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একটি সিস্টেম করছে। প্লাস্টিক কারখানাগুলিতে সেন্সর, ক্যামেরা বসানো হবে। সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক তৈরি করলে তা ধরা পড়ে যাবে। তা হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।’
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, হাতিবাগান, বড়বাজার, নিউ মার্কেট, যদুবাবু বাজার, গড়িয়াহাট ও দক্ষিণাপন-এই ছয় বাজারে সম্প্রতি ২৯৯ দোকানদার ও ৪৯৩ ক্রেতার মধ্যে একটি সমীক্ষা হয়। মূলত মুদির দোকান, ফাস্ট ফুড স্টল, বস্ত্র বিপণি ও মাছ-সব্জির দোকান বেছে নেওয়া হয়েছিল। সমীক্ষার রিপোর্টে উঠে এসেছে ‘সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক’-এই শব্দবন্ধের সঙ্গে পরিচিত ৭৩ শতাংশ মানুষ। তবে সেটি নিষিদ্ধ জেনেও তাঁরা তা ব্যবহারে পিছপা হন না। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই প্লাস্টিক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে বাতাসে দূষণ ছড়ায়। ফলে ক্যান্সার, হরমোনজনিত রোগ বৃদ্ধি পায়।
সোমবার প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে ফুসফুস বিশেষজ্ঞ অরূপ হালদার বলেন, ‘বায়ুর গুণমান মানব ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।’ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ মণিদীপা মণ্ডল বলেন, ‘প্লাস্টিকের বিষাক্ত রাসায়নিকপূর্ণ কণা বাতাস, জল ও খাবারের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। যা কোলোরেক্টাল ও স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।’ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কৌস্তুভ চৌধুরী বলেন, ‘মাইক্রো প্লাস্টিক শিশু মস্তিষ্ক বিকাশের ক্ষেত্রে অন্তরায়।’ ইমারজেন্সি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সংযুক্তা দত্তর আবেদন, ‘এখনই এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ দরকার।’ নিজস্ব চিত্র