যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে সোমবার টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে শিয়ালদহ আদালতে আনা হয়। সেখানে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয় সন্দীপ ঘোষকে। সওয়ালের শুরুতেই সিবিআই তাঁদের ১০ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানায়। এর বিরোধিতা করে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, বারবার তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কোন কোন তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়েছে, সেটা বলা যাচ্ছে না। যে পাঁচটি হার্ড ডিস্ক ও ডিভিআর ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছিল, তার রিপোর্ট এসে গিয়েছে। সেই রিপোর্টে কী কী প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে, তার কোনও ব্যাখ্যা সিবিআই দেয়নি। কখন কী ‘এক্সট্র্যাকশন’ করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না। যদি ডিভিআর থেকে তথ্য মুছে ফেললেও, তা রিট্রিভ করা যায়। অভিজিৎবাবুর আইনজীবীও জামিনের আবেদন করে বলেন, উনি সরকারি কর্মচারী। তাই পালানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। যদিও সিবিআই এর বিরোধিতা করে বলে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্ত হয়নি। আর সরকারি কর্মচারী পালিয়ে গিয়েছেন এমন উদাহরণ রয়েছে।
অন্যদিকে আর জি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষ সহ চারজনকে আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানো হয়। একমাত্র ডাক্তার আশিষ পাণ্ডেকে সশরীরের হাজির করা হয়েছিল। এদিন বিপ্লব সিংয়ের জামিনের আবেদন করা হয়। সিবিআই জানায়, চার্জশিটে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। তাতে বিপ্লবের ভূমিকা আছে। যদি বিপ্লবের আইনজীবী বলেন, ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কোনও ধারাই তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য নয়। সওয়াল শেষে সকলকেই জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।