যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ভল্ট থেকে টাকা ও সোনা হাতানোর ঘটনায় আরিফ ও তার স্ত্রী রুবিনা যে মুল মাথা, তা বুঝতে পারছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, দু’জন ভিতরে ঢুকলেও, বাইরের গেটে পাহারা দিচ্ছিল আরিফের ভাই শোয়েব। মাল হাতানোর পর তিনজনে একসঙ্গে চম্পট দেয়। শোয়েবকে বলা হয়েছিল, লুটের মালের একটা ভাগে সে পাবে। তদন্তকারীরা বলছেন, জেরায় শোয়েব বলার চেষ্টা করে, তার সঙ্গে আরিফের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু লুটের ঘটনার আগে ও পরে দুজনের মধ্যে দীর্ঘ ফোনলাপের কল ডিটেইলস তথ্য তুলে ধরতেই ঘাবড়ে গিয়ে সে ব্যাঙ্কের সামনে উপস্থিতির কথা স্বীকার করে নেয়। শোয়েব পুলিসকে জানিয়েছে, দাদা অনেক চেষ্টা করছিল চাকরি ফিরে পাবার। কিন্তু কোনও কাজ না হওয়ায় ভল্ট লুটের ছক করে আরিফ। সেইমতো সে স্ত্রী ও ভাইকে নিয়ে বুঝিয়ে দেয়, কীভাবে অপারেশন চালাতে হবে। ভল্ট খোলা নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয় এই অভিযুক্ত।
ব্যাঙ্কের ভল্টে বাইরের কেউ হাত দিলেই অ্যালার্ম বেজে ওঠে। একইসঙ্গে একটা টাইমার থাকে। যে কারণে নির্দিষ্ট সময় পর ভল্ট বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি স্থানীয় থানার সঙ্গে অ্যালার্ম সংযুক্ত থাকায় সেটি বেজে উঠলেই সঙ্গে সঙ্গেই পুলিস জানতে পারবে। জেরায় ধৃত পুলিসকে জানিয়েছে, ভল্ট খোলাতে অভ্যস্ত থাকায় সে গোটা বিষয়টি জানত। তাই ব্যাঙ্কে কাজ করার সময় সে ভালোভাবে দেখে নেয়, অ্যালার্মের সুইচ ও টাইমারের তারের সংযোগ কোন জায়গায় রয়েছে। ব্যাঙ্কের দুই কর্মীর নির্দেশে ভল্ট খোলার সময় সে পরীক্ষা করে দেখে নেয়, কোন তার বিচ্ছিন্ন করে দিলে অ্যালার্ম ও টাইমার বন্ধ হয়ে যাবে। তাই গত ২২ নভেম্বর লুটের দিন ব্যাঙ্কে ঢোকার পর সে অ্যালার্ম ও টাইমার অকেজো করে দেয়। বিপদঘন্টি না বাজায়, অনায়াসে অপারেশন চালিয়ে পালায়।
ধৃত আরিফকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সোনার অলঙ্কার উস্তির বাড়িতে রাখলেও, সে চেষ্টা করছিল সেগুলি গলিয়ে ফেলার। দু-একটি অলঙ্কার তার স্ত্রীর পছন্দ হয়েছিল। সে সব গয়না পরেও দেখে। তাই কয়েকটি অলঙ্কার বাদে বাকিগুলি গলানোর জন্য লোক খুঁজছিল। বাইরে নিয়ে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাবে বলে বাড়িতেই সে এই কাজ করিয়ে নিতে চাইছিল। কিন্তু তার আগেই সে ধরা পড়ে যায়।