যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
সোমবার এই পঞ্চায়েতের পাঁচগাছিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, পঞ্চায়েত প্রধান মামনি মাঝির পাকা বাড়ি রয়েছে সেখানে। তাঁরই স্বামী জয়ন্ত মাঝি ও ভাসুর রবিন মাঝির নাম রয়েছে তালিকায়। উপপ্রধান শেখ মনিরুলের বাবা, দুই ভাই সহ আত্মীয়দের নামও রয়েছে। দুর্গা মালিক নামে এক গ্রামবাসী বললেন, ‘দেখতেই তো পাচ্ছেন, আমাদের মাটির বাড়ির কেমন ভগ্নদশা। সরকারের লোক আমাদের বাড়ি পরিদর্শনেও এসেছিল। সার্ভের জন্য ওদের ৭০০ টাকা দিতে হয়েছিল। টাকা দিতে না পারায় তিন সপ্তাহ আমার রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। শৌচালয় পাওয়ার জন্য ২ হাজার ৬০০ টাকা দিয়েছি। শৌচালায় করে দেয়নি। কয়েকটা ইট দিয়েছিল। এখনও আমাদের মাঠেই শৌচকর্মে যেতে হয়। এবার কঠোরভাবে সার্ভে হচ্ছে শুনে ভেবেছিলাম, তালিকায় নাম আসবে। কিন্তু তা তো এল না। উল্টে দেখলাম, প্রধান-উপপ্রধানদের বাড়ির লোক সব পাচ্ছে।’ একই অভিযোগ করেন ওই এলাকার বাসিন্দা বরুণ মালিক, সুশান্ত মালিকরা। প্রধান মামনি মাঝি তাঁদের পাকাবাড়ি থাকার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘সার্ভে হয়েছে বিডিও অফিস থেকে। এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’ উপপ্রধানের বাবা ও দাদাদের আবাস পাওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রকৃত প্রাপক হিসাবে তাঁরা ঘর পেয়েছেন। বিডিও অফিসই এ ব্যাপারে যা বলার, বলতে পারবে।’
বিজেপির তরফে স্থানীয় নেতা গণেশ চক্রবর্তী বলেন, ‘ত্রিস্তরীয় সার্ভে আসলে লোক দেখানো। অবিলম্বে প্রকৃত প্রাপকদের ঘর দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’ তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, ‘সব ক্ষেত্রেই প্রকৃত উপভোক্তাদের ঘর দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।’ তারকেশ্বর ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সুখেন্দু হাজরা জানান, এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি। ঘর প্রাপকদের নাম বিডিও ও পঞ্চায়েত অফিসে দেওয়া আছে। অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।