পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
হাওড়া-আমতা রোডের পাশেই রয়েছে বাঁকড়া বাজার। দিনভর এমনিতেই যানজট লেগে থাকে এখানে। কিন্তু বেহাল নিকাশির কারণে এখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়াই দায় হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, এক-দু’বছর নয়, গত ১০ বছর ধরে জমা জলের ছবিটা একই রয়ে গিয়েছে। একটি ভূগর্ভস্থ নালা কিছুটা দূরে একটি খালে গিয়ে পড়লেও সেটি বুজে গিয়েছে বহু বছর আগেই। বাঁকড়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতের তরফে মাঝেমধ্যে নালা পরিষ্কারের কাজ করা হলেও তাতে কিছুই হয় না। বর্ষাকালে হাওড়া-আমতা রোডে প্রায় হাঁটু সমান জল থাকায় ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসতে পারেন না বাঁকড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু নভেম্বরের শেষে এসেও রাস্তার মাঝে বিষাক্ত জল ঢেউ খেলছে।
জানা গিয়েছে, আশপাশের কয়েকটি আবাসন থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে নিকাশি জল এসে মিশেছে বুজে যাওয়া নালায়। সেই জলেই আবার মিশছে সব্জির খোসা, মাছের আঁশ, মাছ-মাংসের রক্ত। বিষাক্ত জমা জলে বাড়ছে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা। স্থানীয় ব্যবসায়ী শেখ মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘বছর আটেক আগে যখন রাস্তার কাজ হয়েছিল, তখনই রাস্তার তুলনায় নিকাশি নালার উচ্চতা বেশি করা হয়। সেকারণেই জমা জল বেরতে পারে না। একারণে ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হচ্ছে। বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যেতে পারছেন না অভিভাবকরা।’ বাঁকড়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান আখতার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘জেলা পরিষদ, পিডব্লুডি ও সাংসদ তহবিল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা ড্রেনেজ সিস্টেম তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন বছরেই কাজ শুরু হবে। ফলে আগামী বর্ষায় আর জমা জলের ভোগান্তি থাকবে না।’-নিজস্ব চিত্র