পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পাঁচ বছর আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে ভাটপাড়া-নৈহাটি এলাকার ‘সন্ত্রস্ত’ দিনগুলির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন। পার্টি অফিসে দখল হয়ে গিয়েছিল। আমি এসে সেই পার্টি অফিস খুললাম। রং করলাম। নৈহাটি, ভাটপাড়ার মানুষকে সাহস জোগালাম। আজকে আসার সময় ওই পার্টি অফিস দেখলাম। সেবার আমাকে অনেক কুকথা শুনতে হয়েছিল। আমি সে সব ভুলে গিয়েছি। খারাপ কথা মনে রাখতে নেই। পার্থ ভৌমিক এমপি হবার পর নৈহাটি ও ভাটপাড়া হাসপাতালের ওপিডি তৈরি করতে ২ কোটি টাকা করে দিচ্ছে। ওকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজ সংবিধান দিবস, আমরা ধর্মনিরপেক্ষ। সংবিধান প্রণেতাদের প্রণাম জানাই। বন্দেমাতরম এর জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থান এটা। তাঁকেও প্রণাম জানাই। নবান্নে ফিরে সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের প্রতিকৃতিতে মালাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বড় মা’র মন্দির থেকে বেরিয়ে আর গাড়িতে ওঠেননি মমতা। অরবিন্দ রোডের দু’ধারে জনস্রোতে ভাসতে থাকেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জয় বাংলা স্লোগান আর গণ উচ্ছ্বাসের মাঝে জনসংযোগ সারতে সারতে এগিয়ে যান মমতা। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের আদর করেন। ভিড় সামলাতে সে সময় হিমশিম খেতে হচ্ছিল নিরাপত্তা রক্ষীদের। নৈহাটি স্টেশন পার করে প্রায় দু’কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করেন তিনি। ঘোষপাড়া রোডে প্রাক্তন বিধায়ক তরুণ অধিকারীর নার্সিংহোমের সামনে থেকে গাড়িতে উঠে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। যাওয়ার পথে বিজয়নগরে একটি পার্টি অফিসের সামনে দলীয় কর্মীরা ঢাক বাজাচ্ছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে ঢাকে বোল তোলেন মমতা।