পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
গোয়াবাগানে চোখ ধাঁধানো আলোর মাঝে একখানা মঞ্চ। পিছনে জায়ান্ট স্ক্রিন। সেখানে ফুটে উঠছে খেলোয়াড়দের ছবি, নাম, ঠিকানা। তার সঙ্গে লেখা, তিনি বোলার, ব্যাটার না অলরাউন্ডার। মঞ্চের সামনে অনেকগুলি গোল টেবিলে বসে টিমের মালিকরা। খেলোয়ারদের নাম ঘোষণা হতেই টেবিল থেকে ছোট ব্যাট তুলে ইঙ্গিত করছেন মালিকরা। আর দাম বেড়ে যাচ্ছে খেলোয়াড়দের। টুর্নামেন্ট শুরু ৯ ডিসেম্বর থেকে। তার আগে হল নিলাম। আয়োজক ‘গোয়াবাগান ঐকতান’। ক্লাবের সম্পাদক শিবা পণ্ডিত বলেন, ‘হাওড়া, মোমিনপুর, জামশেদপুর সহ সারা রাজ্য থেকে খেলোয়াররা যোগ দিয়েছিলেন। ৫০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি ছিল।’ ১৬টি টিমের মালিক ছিলেন এখানে। প্রশ্ন, ‘খেলোয়াড়দের দর ঠিক হল কীভাবে?’ শিবা বলেন, ‘বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া লোকজনরাই এখানে টিমের মালিক হয়েছেন। সে কারণে, এখানে আসা সব খেলোয়াড়দের তাঁরা চেনেন। তাই কার কত দাম উঠতে পারে, সেটা ঠিক করতে কোনও সমস্যা হয়নি। এছাড়াও এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন, যাঁরা আগে টুর্নামেন্ট খেলতেন। এখন আর খেলেন না। তাঁদেরও নিয়ে আসা হয়েছিল।’ ১২৮ জন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিলেন নিলামে। সকলের সুযোগ হয়নি। আইপিএলের মতো এখানেও অনেকে ‘আনসোল্ড’ থেকে গিয়েছেন। কিন্তু উত্সাহ দেওয়ার জন্য নিলামের পর সকলকেই নিয়ে নেওয়া হয়।
গত দু’বছর ধরে এই ওয়ার্ডের লোকজনকে নিয়েই এই টুর্নামেন্ট হতো। ‘এখনকার দিনে পাড়ার বাচ্চাদেরও দেখি সারাক্ষণ ফোন নিয়ে বসে থাকে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, সেখান থেকে বের করে এনে খেলার মাঠে নিয়ে আসা। একটি বাচ্চা যাতে খেলোর মাধ্যমে আগামী দিনে ওই দেড় হাজারে পৌঁছতে চেষ্টা করে, এটাই চাই আমরা’-বলেন শিবা। অনেকে মনে করছেন, শীতকালে পাড়ার টুর্নামেন্টে আইপিএলের ধাঁচে অভিনবত্ব হাজির করে গোয়াবাগান বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে।