পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
দক্ষিণ দমদমের পাশ দিয়ে গিয়েছে শিয়ালদহ মেইন লাইন। লাইনের উল্টো দিকে কলকাতা পুরসভা। এখানে পরপর রয়েছে পাতিপুকুর, দমদম, বেদিয়াপাড়া ও চুনিপোলের রেলওয়ে আন্ডারপাসে। এগুলিতে সারা বছর জল জমে। আন্ডারপাসগুলি আশপাশের নিকাশিনালার তুলনায় অনেকটাই নিচু বলেই জল জমে বছরের যে কোনও সময়। গত আটদিন ধরে পুরসভায় ক্যাগের অডিট চলছে। পাম্প চালানোর বিপুল খরচ দেখে ক্যাগ একাধিক প্রশ্ন তোলে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, চুনিপোলে ১টি ১০ এইচপি (হর্সপাওয়ার), পাতিপুকুরে ১০ ও ১৫এইচপির দু’টি, বেদিয়াপাড়ায় দু’টি ১০এইচপি ও দমদম আন্ডারপাসে দু’টি ১০ ও ১৫এইচপির পাম্প চলে। বর্ষার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী পাম্প বাড়ানো ও কমানো হয়। এতগুলি পাম্প চালাতে বর্ষাকালে গড়ে মাসিক খরচ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। বছরের অন্যান্য সময় পাম্প ভাড়া, মেইনটেনেন্স, তেল, লেবার সহ খরচ পড়ে মাসে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। শীতের সময় কেন পাম্প চালাতে হয়, পাম্প কিনলেই তো খরচ কমতে পারে— এমন নানা প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা চান অডিটররা। এই খাতের খরচ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তাঁরা। আধিকারিকরা জানান, রেলের জলেই সমস্যা হচ্ছে। শীতের সময় পাম্প না চালালে জল জমবে। তারপরও অডিটররা সন্দেহমুক্ত হননি। তখনই আধিকারিকরা ঠিক করেন, পুরসভায় অডিটররার থাকতে থাকতে পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই মতো শুক্রবার থেকে আন্ডারপাসের পাম্পগুলি বন্ধ করতেই শনিবার থেকে জল থইথই অবস্থা হয় সবক’টি আন্ডারপাসের। সোমবার অডিটাররা সেই ছবি দেখে থ! তাঁরা বলেন, ‘আমরা কেবল কারণ জানতে চেয়েছিলাম।’ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্ত বলেন, ‘রেলের জলই সারাবছর আন্ডারপাসে ঢোকে। পুরসভাকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পাম্প বসিয়ে সেই জল বাইরে ফেলতে হয়। বিষয়টি অডিটররা প্রথমে বুঝতে পারেননি। এখন তাঁরাও সমস্যা বুঝেছেন।’