পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
বড়বাজারের আর্মেনিয়ান স্ট্রিটে পরিবহণের ব্যবসা রয়েছে চুয়াল্লিশের ব্যবসায়ী অশোক চৌরাসিয়ার। ৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ কোন্নগরের বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। রাত সাড়ে দশটার আশেপাশে শেষবার স্ত্রী’কে ফোন করে জানান, ‘বাড়ি ফিরব, তবে একটু দেরি হবে।’ তারপর রাত গড়িয়ে সকাল হয়। কিন্তু ওই ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী আর ঘরে ফেরেনি। বিভিন্ন জায়গায় পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও অশোকের কোনও হদিশ না মেলায়, ৫ নভেম্বর পরিবারের তরফে স্থানীয় উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। বালি ব্রিজের উপর ব্যবসায়ীর বাইকটি উদ্ধার করে চন্দননগর পুলিস কমিশনারেট। অন্তর্ধান রহস্যের তদন্তে নেমে পুলিস বালি ব্রিজের কাছে একটি হোটেলের সিসি ক্যামেরায় ব্যবসায়ীর ছবিও পায়। পরে এই মামলার তদন্তভার যায় স্থানীয় কোন্নগর পুলিস ফাঁড়ির হাতে। অভিযোগ, তারপর থেকে রহস্যজনক নিখোঁজ কাণ্ডের তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। জোরদার তদন্তের দাবিতে পরিবার লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগ থেকে ভবানীভবনে সিআইডির দপ্তর পর্যন্ত বারবার ছুটে গিয়েছেন। কিন্তু বারবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁদের। নিখোঁজ ব্যবসায়ীর দাদা সন্তোষ চৌরাসিয়ার দাবি, ‘বাজারে ভাইয়ের তেমন কোনও ধার-দেনা নেই। তবে দেড়-দু’মাস আগে পরিবহণ ব্যবসায়ী তাঁর অফিসের এক মহিলাকর্মীকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন। ওই মহিলাকর্মী এই নিখোঁজ কাণ্ডের নেপথ্যে থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু পুলিস তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদই করছে না।’
স্থানীয় সূত্রের খবর, নিখোঁজ ব্যবসায়ীর সঙ্গে ওই মহিলাকর্মীর একটা অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যা নিয়ে ব্যবসায়ীর পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। পরিবারের চাপে ব্যবসায়ী সম্প্রতি ওই মহিলাকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন। এমনকী বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার দিনও ওই মহিলার সঙ্গে ব্যবসায়ীর কথা হয়েছে। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অমিত জাভালগিকে মেসেজ পাঠানো হলে, রাত পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি।