কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
আর জি কর কাণ্ডের পরে নৈহাটিতে প্রতিবাদ মিছিলে বড় গোলমাল হয়েছিল। তা ভোটে ইস্যুও করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আর জি কর ইস্যু ভোটের বাক্সে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। ফলাফল প্রকাশের পরে গণনা কেন্দ্রের বাইরে তা স্বীকারও করে নেন দেবজ্যোতি মজুমদার। তিনি বলেন, দ্রোহকালে মানুষ বিদ্রোহী হলেও ভোটে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। ছাপ্পা হয়েছে, তা বলব না। মানুষ ভোট দেয়নি, তাই জিতিনি। সিপিএমের উপরতলার সঙ্গে বোঝাপড়া হলেও নিচুতলায় তা হয়নি। ফলে সিপিএমের ভোট তিনি পাননি বলেই লিবারেশনের প্রার্থী জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ছ’মাস আগে হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনের প্রাপ্ত ভোটও ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। সেই ভোটে বিজেপি পেয়েছিল ৬০ হাজারের কিছু বেশি ভোট। আর শনিবারের গণনার পর দেখা যায়, বিজেপি প্রার্থীর বাক্সে পড়েছে ২৯৪৯৫টি ভোট। উল্টোদিকে তৃণমূলের ভোট সেই তুলনায় অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। ১,২৫,১০০ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তার মধ্যে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে পেয়েছেন ৭৮,৭৭২টি ভোট। প্রধান তিন বিরোধী প্রার্থীর ভোট যোগ করেও তা তৃণমূলের ধারেকাছে পৌঁছচ্ছে না। এদিন নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে গণনা শুরু হতেই তৃণমূলের মার্জিন বাড়তে শুরু করে। এমনকী পোস্টাল ব্যালটেও জেতে তৃণমূল। প্রতি রাউন্ডেই প্রায় পাঁচ হাজার ভোটের মার্জিন ছিল তৃণমূল প্রার্থীর। হার অবশ্যম্ভাবী বুঝে ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই গণনা কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র ও তাঁর কাউন্টিং এজেন্টরা। কারণ ১০ রাউন্ড গণনার পরে দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের মার্জিন প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি চলে এসেছে। তবে যাওয়ার সময় জয়ী প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যান বিজেপি প্রার্থী।
নৈহাটি যার গড় বলে পরিচিত, সেই পার্থ ভৌমিক আগেই ঘোষণা করেছিলেন, ৫০ হাজার ভোটে জিতব। ফলাফল মিলে যাওয়ায় গণনার শেষ হওয়ার আগেই দলীয় নেতা-কর্মীদের আবেগে, ভালোবাসায় ভেসে গেলেন তিনি। উড়ল সবুজ আবির। আর গণনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে বেরতেই তা উৎসবের চেহারা নিল। জয়ের আনন্দে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। লাড্ডু বিলি হল। দলীয় কর্মীরা জয়ী প্রার্থী সনৎ দে, পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়কে সবুজ আবির মাখালেন। ডিজে বাজা শুরু হল। মহিলারা নাচতে শুরু করলেন। আর সনৎ দে কৃতজ্ঞতা জানালেন নৈহাটির মানুষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিকের প্রতি।