কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
সূত্রের খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শেখ মেহমুদ নামে এক বাসিন্দাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিল। চিকিৎসা শুরুর আগে আরও একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তখনই মৃত্যু হয় তাঁর। ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও বচসা বাধে মৃতের পরিবারের লোকজনের। এরপর রাতে আচমকা শতাধিক লোকজন চড়াও হয় হাসপাতালে। শুরু হয় ব্যাপক ভাঙচুর ও তাণ্ডব। হাসপাতালের গেটের কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। হামলা চলে ইমার্জেন্সিতে। প্রচুর ওষুধ-ইঞ্জেকশন নষ্ট করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রোগী ও তাঁদের আত্মীয়স্বজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গোলমাল দেখে কেউ কেউ হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েও যান। কাউকে আবার অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। এখানেই শেষ নয়! উত্তেজিত লোকজন ইমার্জেন্সির অবজার্ভেশন ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, সেই সময় কর্তব্যরত নার্সদের ব্যাপক মারধর করা হয়। তা আটকাতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা আক্রান্ত হন। শৌচাগারে গিয়ে লুকিয়ে প্রাণে বাঁচেন এক নার্স। জখম অবস্থায় এক নার্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিস জানিয়েছে, এই ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’। ঘটনা নিয়ে সুপারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বিদ্যাসাগর হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। কেন পুলিস স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হল, তা উপযুক্ত জায়গায় জানানোর দাবি জানিয়েছে তারা।