কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালে। একটি নকল দাঁত খুলে যায় শেখ সাজিদের। তিনি ভুল করে সেটি গিলে ফেলেন। দাঁতটি গিয়ে আটকে যায় শ্বাসনালী এবং ফুসফুসের সংযোগস্থলের মুখে। শুরু হয় তুমুল অস্বস্তি। এরপর আর একটি নকল দাঁত বসানো হয়। ২০২৩ সালে ফের অঘটন। নতুন দাঁতটিও খুলে যায়। সেটিও শ্বাসনালী ধরে ব্রঙ্কাসে গিয়ে ফুসফুসে ঢোকার মুখে যায় আটকে। এবার অস্বস্তি আরও বাড়ে। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় সাঁই সাঁই করে আওয়াজ বের হতে থাকে। লাগাতার কাশতে থাকেন সাজিদ। আব্বাস বলেন, ‘নানুর, বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে দেখানোর পরও বাবার দাঁত বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। এরপর আমরা দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত সাঁইবাবা হাসপাতালে যাই। সেখানে কোনও লাভ হল না। ওরা দক্ষিণেরই আর একটি বিখ্যাত হাসপাতালে রেফার করে। সেখানেও যাই। কিন্তু নিট ফল শূন্য। শেষে রাজ্যে ফিরে এসে লোকমুখে শুনে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে বাবাকে দেখাই। চিকিৎসকরা বলেন, সপ্তাহদুয়েক আগে সাজিদকে ভর্তি করা হয়। সিটি স্ক্যান এবং অন্যান্য পরীক্ষা হয়। সপ্তাহখানেক আগে দাঁত দু’টি বের করে আনার চেষ্টা হয়েছিল। দাঁতের আশপাশে নানা পদার্থ জড়ো হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তবে সেবার ব্রঙ্কোস্কপি দিয়ে দাঁত দু’টি অনেকটাই পরিষ্কার করে দিই। এদিন (শনিবার) ফাইবার অপটিক ব্রঙ্কোস্কোপ ব্যবহার করা হয়। কিছুক্ষণের চেষ্টায় দুই ফুসফুস থেকেই বেরিয়ে আসে দু’খানি দাঁত।