ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
পাশাপাশি দু’টি পুরভবনের মধ্যে স্থাপত্য ও গঠনরীতির সাদৃশ্য যে কারও নজরে পড়বে। সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে নয়া ভবনটি। উপরে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের অন্যান্য স্থাপত্যের মতো সবুজ রংয়ের গম্বুজ। বেসমেন্ট সহ গোটা বাড়িটি ছ’তলা। প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট ‘অফিস স্পেস’ রয়েছে। গোটা বিল্ডিং পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। একদম উপরের তলায় থাকবে দু’শো আসন বিশিষ্ট একটি কনফারেন্স রুম। বেসমেন্টে একসঙ্গে কয়েক’শো গাড়ি রাখা যাবে। তবে পুরসভা সূত্রে খবর, সেখানে পার্কিং লট করা হবে না। অন্য কোনও কাজে লাগানো হতে পারে। যেখানে এই নয়া ভবন গড়ে উঠেছে, এক সময় সেখানেই ছিল দেশের প্রথম ‘বায়োস্কোপ’। প্রথম নাম ছিল ‘এনফিনস্টোন পিকচার প্যালেস’। ফার্মজি জামশেদজি ম্যাডান পুরসভা থেকে জমি লিজ নিয়ে ১৯০৭ সালে তৈরি করেন দেশের প্রথম সিনেমা হল। ১৯৩০ সালে ‘স্ট্যান্ড সিনেমা’, ১৯৫১ সালে ‘মিনার্ভা’ নামকরণ হয় এই প্রেক্ষাগৃহের। ১৯৮৯ সালে চার্লি চ্যাপলিনের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে হলের নাম হয় ‘চ্যাপলিন’। আর্থিক সমস্যার কারণে ১৯৯৫ সালে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় চ্যাপলিন সিনেমা হল। ২০০৩ সালে তৎকালীন পুরবোর্ড সেই জমিতে নয়া পুরভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বামফ্রন্ট আমলে ওই প্রকল্প দিনের আলো দেখেনি। এর মধ্যে পুরনো পুরভবনে একের পর এক অফিস ও লোকলস্কর বেড়েছে। ফলে পুরসভার নিজস্ব আরও একটি ভবন তৈরির প্রয়োজনীয়তাও বাড়তে থাকে। ২০১৬ সালে নতুন ভবনের শিলান্যাস হয়। তবে কাজ শুরু হতে লেগে যায় ২০১৯-২০ সাল।
এক পুরকর্তা বলেন, ‘দেশের প্রথম সিনেমা হল যে এখানেই ছিল, সেই ইতিহাস জানাতে একটি ফলক বসানোর কথা রয়েছে। ১৮৭৬ সালে বর্তমান পুরভবন স্থাপিত হয়। তার আগে চলত মেয়রস কোর্ট। বর্তমানে যে লালবাড়ি আমরা দেখি, তার পুরোটা অবশ্য ১৮৭৬ সালে তৈরি হয়নি। তখন শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুরসভার অফিস চলত। ১৯০৫ সালে সব অফিসগুলি একছাতার তলায় আনা হয়। তখন পুরভবন বর্তমানের অবয়ব পায়। ফলে চ্যাপলিন স্কোয়ারের এই বাড়িটি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পুরসভার নিজস্ব ভবন বললে অত্যুক্তি হয় না।’