ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
তদন্তে নেমে জিআরপির অফিসাররা জেনেছেন, প্রতিবন্ধীদের যে বগি থাকে, সেখানেই তাঁর বার্থ বুক করা ছিল। স্ত্রীকে রাত ১০টা বেজে পাঁচ মিনিটে ফোন করার পর তিনি ট্রেনে ওঠেন। তারপর আর কাউকে কল করেননি। কে বা কারা তাঁকে কী কারণে খুন করল, তার তদন্তে নেমে একাধিক সম্ভাবনার কথা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। জানা যাচ্ছে, তিনি কাটিহারে একটি গানের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। রেল পুলিসের অফিসাররা মনে করছেন, যে কামরায় তিনি ওঠেন সেটি ফাঁকা থাকায় দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই উঠে বসে থাকতে পারে। গভীর রাতে তাঁর কাছে জিনিস হাতানোর সময় বাধা পেয়ে ছুরি দিয়ে দুষ্কতীরা কুপিয়ে খুন করেছে তবলা বাদককে। তাঁর লাগেজ মিসিং হওয়ায় লুটের সম্ভাবনা বেশি করে ভাবাচ্ছে অফিসারদের। খোয়া গিয়েছে নগদ দশ হাজার টাকা সমেত আরও কিছু সামগ্রী। তাঁর বুকে তিনটি ও পেটে একাধিক ছুরির কোপ মিলেছে। তাই দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁকে কোপানো হয়েছে। এরপর চাদর চাপা দিয়ে নেমে যায় অপরাধীরা। কাউকে আঘাত করলে চিৎকার করাটাই স্বাভাবিক। ট্রেনের ওই কামরায় আরও কয়েকজন ছিলেন। কেউ কোনও শব্দ শুনতে পেলেন না কেন বা তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছিল কি না, তা কামরার সহযাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইছেন অফিসাররা।
পাশাপাশি কাটিহারের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে চাইবেন, সেখানে তাঁর সঙ্গে কারও গোলমাল হয়েছিল কি না। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কারও সঙ্গে তাঁর শত্রুতা ছিল কি না এই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছেন তদন্তকারীরা। অনুষ্ঠান শেষে তিনি একাই কাটিহার থেকে ওই কামরায় ওঠেন, নাকি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া আরও কেউ ছিল ওই বগিতে তা জানতেই কাটিহার গিয়েছে টিম। তাঁকে কেউ অনুসরণ করছিল কি না, জানতে কাটিহার স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ছবি দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগের সূত্র ধরে দেখা হচ্ছে কতক্ষণ তিনি নেট সার্ফিং করেছেন এবং হোয়াটসঅ্যাপে শেষ মেসেজ কাকে পাঠান। সেইসব সূত্র থেকে খুনের আনুমানিক সময় জানার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তরা কোন স্টেশনে নেমেছে জানতে বিভিন্ন স্টেশনের ফুটেজ দেখা হচ্ছে।
স্ত্রীকে ফোন করা ও ট্রেনে ওঠার মধ্যে সৌমিত্রবাবুর সময়ের ব্যবধান কতটা ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে রেল পুলিস। চলন্ত ট্রেনে দুষ্কৃতীদের অপরাধে বাধা দেওয়ায় সৌমিত্রবাবু খুন হয়েছেন নাকি পরিচিত কেউ এই ঘটনায় জড়িত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার তদন্তে রেল পুলিসের টিম কাটিহার রওনা হয়েছে।