ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
মামলার বয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মামলাকারীর তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিল বাগুইআটি থানার পুলিস। এরপর থানার ক্যাম্পাসেই গাড়িগুলি রাখা ছিল। মামলাকারী ব্যক্তি তাঁদের গাড়িগুলি ফেরতের জন্য পুলিসের কাছে আবেদন জানালে পুলিস জানায় গাড়িগুলি চুরি গিয়েছে। সেই গাড়ি চুরির ঘটনায় সম্প্রতি পুলিস নিজেই একটি এফআইআর দায়ের করেছে।
এই তথ্য শোনার পরই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘এর আগে নিউটাউন, রাজারহাট, এবার বাগুইআটি। গোটা কমিশনারেটটাই একেবারে গিয়েছে।’ রাজ্যের আইনজীবী তখন বলার চেষ্টা করেন, পুলিস ইতিমধ্যেই এফআইআর শুরু করে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। বিচারপতি তখন বলেন, ‘এই এফআইআর আসলে একটা আই ওয়াশ। পুলিস নিজেকে বাঁচাতে এই এফআইআর করেছে। এই এফআইআরে কাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে? এবার আমি কমিশনারেটের সব আইসিকে অভিযুক্ত করব।’ সেই সঙ্গে তিনি তখন জানতে চান, যখন ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই সময় বাগুইআটি থানার আইসি কে ছিলেন? সেই অফিসার এখন কোন থানায় পোস্টিং আছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, তৎকালীন বাগুইআটির আইসি এখন নিউটাউন থানায় কর্মরত। সেকথা শুনে বিচারপতি আরও বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘এই তো অবস্থা! অযোগ্য অফিসারদের শুধু এদিক থেকে ওদিকে পাঠাচ্ছেন! দক্ষ অফিসার নিয়োগ করুন। নাহলে ওই কমিশনারেটেই আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে’।
এরপরই বিধাননগরের পুলিস কমিশনারকে বিচারপতির নির্দেশ, যেহেতু তিনি কমিশনারেটের প্রধান, তাই তিনি নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। থানার ভিতর থেকে কী করে গাড়ি চুরি হয়ে যায়, সেই ব্যাপারে পুলিসের কী ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে সিপিকে রিপোর্ট দিতে হবে। একই সঙ্গে ২০১৭ সাল থেকে ওই থানায় এখনও পর্যন্ত যতজন আইসি ও যতজন আইও দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তাঁদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে হবে সিপিকে। ১২ ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি। সেদিন পুলিস কমিশনারকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারপতি।