ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বীথিকাদেবীর তিন মেয়ে ও এক ছেলে। প্রায় আট বছর আগে মেজ মেয়ে সীমা বারুইয়ের সঙ্গে জিরাট হাসপাতাল মোড়ের বাসিন্দা অসিত হালদারের বিয়ে হয়। অসিত পেশায় কাঠমিস্ত্রি। অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করেছিল অসিত। এ নিয়ে একাধিকবার জামাইয়ের নামে পুলিসের কাছে অভিযোগ করেছিলেন বীথিকাদেবী। দু’বছর আগে সীমা ও অসিতের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সীমা তাঁর একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন। বর্তমানে তিনি চুঁচুড়ায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। সেই সূত্রে চুঁচুড়াতেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। কিন্তু দু’বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে অসিত কেন হামলা চালালো, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে বারুই পরিবার। সীমাদেবী বলেন, বাবার ফোনে জানতে পারি, অসিত বাড়িতে এসে মা ও বোনকে বাটালি দিয়ে কুপিয়েছে। কেন ও এমন করল, বুঝতে পারছি না। গত দু’বছর ধরে আমার সঙ্গে ওর কোনও যোগাযোগ নেই। ছেলের খোঁজখবরও রাখে না। তবে আগে ও বলেছিল, আমাদের পরিবারের কোনও একজনকে সে খুন করবে। আমার দিদি লিমা বালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি চাই, অসিতের কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক। বীথিকাদেবীর বড় মেয়ে লিমা বলেন, শুধু অসিত নয়, ওর বাড়ির সদস্যরাও এই ঘটনার পিছনে আছে। তাদেরও শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। মাকে চুলির মুঠি ধরে পেটে ও পিঠে কুপিয়েছে। আমার বোনের পায়ে কোপ মেরেছে।
বারুই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে অসিত বাড়িতে এসে শাসাতে শুরু করে। সেই সময় বাড়িতে পুরুষরা কেউ ছিলেন না। তাই এক ছুটে প্রতিবেশীদের ডাকতে যাচ্ছিলেন ছোট মেয়ে সমাপ্তি। কিন্তু তিনি বাড়ির বাইরে বেরতেই তাঁর উপরে বাটালি নিয়ে হামলা চালায় অসিত। মেয়ের আর্ত চিৎকারে বীথিকাদেবী ছুটে আসেন। তখন তাঁর চুলির মুঠি ধরে পিঠে ও পেটে বাটালির কোপ মারে সে। তারপর সাইকেল নিয়ে চম্পট দেয়।