ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজারহাট ও নিউটাউন থানার একাধিক মামলা শুনানির জন্য আসছে বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। সেই মামলাগুলিতে পুলিসের চরম গাফিলতি দেখা যাচ্ছে। আর তাতেই বিরক্ত বিচারপতি ঘোষ। মামলাগুলিতে দেখা যাচ্ছে, আদালত রিপোট দিতে নির্দেশ দিলেও তাতে থোড়াই কেয়ার করছেন আইসিরা। ভুল রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। নয়তো বার বার একই রিপোর্ট দিচ্ছেন তারা। যার জেরে রিরক্ত বিচারপতি অমিতেশবাবুকে বলেন, ‘এই থানার আইসি’রা জানেনই না, রাজ্যের উদ্দেশ্য কী? রাজ্য চাইছে সেখানে বিনিয়োগ আসুক। রাজ্য নতুন শহর তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু এই থানার আইসিদের কিছুতেই তা বোধগম্য হচ্ছে না। আদালত কিন্তু এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য থাকবে।’
এদিন রাজারহাট এলাকায় জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে মারধর ও তোলাবাজির ঘটনা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। সেই মামলায় রাজারহাট থানার কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। এদিন সেই রিপোর্ট জমা পড়তেই তা দেখে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি ঘোষ। এজলাসে উপস্থিত রাজ্যের আইনজীবীর কাছে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘আপনি এই রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট? রিপোর্টে যে ধারার কথা উল্লেখ করেছেন তাতে নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়ায় ফল কী হবে?’ এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি রাজ্যের আইনজীবী।
রাজারহাট থানা এলাকায় জমি মালিকের হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে পেশ করা রিপোর্টে পুলিস জানায়, ১২ জন হামলা চালিয়েছে বলে মামলাকারী যে অভিযোগ করেছেন, তার সারবত্তা রয়েছে। কিন্তু সেই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পুলিস নিম্ন আদালতের অনুমতি চেয়েছে। পুলিসের এই কর্মকাণ্ড দেখে বিচারপতি ঘোষের বলেন, ‘হাইকোর্টকে কি পুলিস নিম্ন আদালত মনে করছে? যেখানে পুলিস আদালত গ্রাহ্য অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে, সেখানে নিম্ন আদালতের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে কি? এই সামান্য আইনটুকু যদি পুলিস না জানে, তাহলে কীভাবে সাধারণ নাগরিক বিচার পাবেন?’ এরপরই রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘আপনার মনে হয়, এই পুলিস অফিসারদের থানায় থাকার যোগ্যতা রয়েছে? কীভাবে ফৌজদারি মামলার তদন্ত করতে হয়, সেটা এরা জানেন বলে মনে হচ্ছে আপনার? অভিযোগ যা আছে, সেই অনুযায়ী তদন্ত কোথায়? এই অফিসারদের আইনের জ্ঞান কতটা? কমিশনারের জানা দরকার, তিনি কাদের নিয়ে কাজ করছেন। সাদা পোশাক পরলেই কলকাতা পুলিস হওয়া যায় না। এটাই শেষ সুযোগ। এবার আদালত চরম পদক্ষেপ নেবে।’