সংবাদদাতা, বারুইপুর: তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মা ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে আগেই। কিছুদিন আগে তিনিও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এত বয়সে তিনি মা হলে সমাজ কী বলবে, তা ভেবে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন মন্দিরবাজার থানার চাঁদপুর ধোপাহাটের বাসিন্দা কাজল কয়াল। কিন্তু ‘লোকলজ্জা’র হাত থেকে বাঁচতে তিনি যে এমন একটি কাণ্ড ঘটিয়ে বসবেন, তা ঘূণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। শুক্রবার সন্ধ্যায় চতুর্থ কন্যাসন্তান প্রসব করেন কাজলদেবী। তার কিছুক্ষণের মধ্যে সদ্যোজাতকে মেরে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মন্দিরবাজার থানা এলাকায়। ঘটনায় হতবাক পরিবারের লোকজন ও পাড়া-প্রতিবেশী। ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে কাজলদেবীর বিরুদ্ধে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আপাতত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, সুস্থ হলেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চতুর্থবার কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার পর তাঁর মধ্যে কোনও উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তিনি একটি বস্তা জোগাড় করে তাতে সদ্যোজাতকে ভরে বাড়ির অদূরে একটি ডোবার কাছে পুঁতে দেন বলে অভিযোগ। কাজলদেবীর স্বামী গণেশ কয়াল প্যান্ডেল বাঁধার কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার তিন মেয়ের মধ্যে এক মেয়ে বিবাহিত। সেও সদ্য অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এটা শুনে লজ্জায় ও এই কজে করেছে। আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম। এমনটা হয়ে যাবে, ভাবতেও পারিনি।’ পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।