প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দপ্তরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখানে বড় পর্দায় পর্ষদের আধিকারিকরা সারা রাজ্যের বাতাসের মান, শব্দদূষণের মাত্রার উপর নজর রাখছেন। কন্ট্রোলে সারা বাংলা থেকে অভিযোগের খবর আসছে। কেউ ফোন করছেন শব্দবাজির অভিযোগ জানিয়ে। কেউ সাউন্ড বক্সের শব্দে নাজেহাল। আবার এরকম ফোনও আসছে, পাশের বাড়ির এসির আওয়াজে রাতে ঘুম হচ্ছে না স্যার। এসব ফোন অবাক করছে পরিবেশ ভবনের আধিকারিকদের। কিন্তু অভিযোগ এলেই পর্ষদ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানায় জানাচ্ছে। চলছে ড্রোনে নজরদারি।
সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, কালীপুজোর দিন রাত আটটা থেকে ১২টা পর্যন্ত শুধুমাত্র সবুজবাজি ফাটানো যাবে। কিন্তু কে কার কথা শোনে! বাজি পোড়ানো চলছেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শব্দবাজি নিয়ে প্রশাসনের কড়াকড়ির পর আলোবাজির ব্যবহার বেড়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ‘বাজির প্রতিটি রঙের জন্য আলাদা রকমের রাসায়নিক ব্যবহার হয়। সেই রাসায়নিক জনস্বাস্থ্যর উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।’
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, ‘কোনও ধরনের বাজি না ফাটানোই তো ভালো। সর্বোচ্চ আদালত দু’ঘণ্টা সবুজ বাজি ফাটানোর অনুমতি দিয়েছে। সেই নিয়ম মেনে চলতে আবেদন জানিয়েছি। স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের নিয়ে আতসবাজি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি সেমিনার করেছিলাম। আমরা সচেতনতা বৃদ্ধির দিকেই নজর দিকে চাই।’