প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বুধবার জেলা সদরের সব প্যান্ডেলের উদ্বোধন হয়। তবে উদ্বোধনের দিনের ভিড় এদিন ছাপিয়ে গিয়েছে। রাত কিছুটা বাড়তেই ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক চলে যায় দর্শনার্থীদের দখলে। গোবরডাঙা থেকে রমা দে এসেছিলেন তাঁর স্বামী পঙ্কজ দেকে নিয়ে। হেঁটে হেঁটে প্যান্ডেল ঘুরে ক্লান্ত তাঁরা। চোখেমুখে ঘাম জমে। ঘেঁটে গিয়েছে রমার মেকআপ। কিন্তু তাঁদের ‘ডোন্ট কেয়ার’ ভাব। চাঁপাডালি মোড়ে দাঁড়িয়ে ফোনের সেলফি ক্যামেরায় চুল ঠিক করে নেওয়ার পাশাপাশি একটু লিপস্টিক লাগিয়ে নিলেন। পাশের মিষ্টির দোকান থেকে এক লিটার ঠান্ডা জল কিনে ফের শুরু প্যান্ডেল হপিং।
বারাসত ডাক বাংলো মোড় থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ময়না পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথে অধিকাংশ বড় বাজেটের পুজো। এদিন বিকেল থেকে প্যান্ডেল হপিং শুরু করেন দর্শনার্থীরা। ডাকবাংলো ছাড়িয়ে সন্ধানী ক্লাবের রাশিয়ান মনুমেন্ট দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। ১১ নম্বর রেলগেট অতিক্রম করে একে এক তরুছায়ার আলোর দিশারী মণ্ডপ থেকে আমরা সবাইয়ের তিব্বতের কৈলাস ও মানসসরোবর দেখতে এদিন উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধরে রেজিমেন্ট ক্লাবের ফ্রান্সের চার্চের আদলে নজরকাড়া প্যান্ডেল ও শক্তিমন্দিরের বিশ্বশান্তির বার্তায় সজ্জিত প্যান্ডেল দেখতেও এদিন দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল যথেষ্ট।
এছাড়া বারাকপুর-বারাসত রোডের ছাত্রদলের দক্ষিণ ভারতের নারায়ণ মন্দির দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। পিছিয়ে ছিল না মধ্যমগ্রামের চৌমাথা সংলগ্ন ইয়ং রিক্রিয়েশন থেকে যশোর রোডের ধারের পূর্বাশা যুব পরিষদের পুজো মণ্ডপ। এদিন বিকেল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা সদরের জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছে পুলিস। পুলিস সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, ভিড় নিশ্চিত বুঝেই এদিন শহরে ঢোকার কয়েকটি রাস্তায় নো এন্ট্রি করা হয়েছে। মানুষের স্বার্থেই এই ভাবনা।