প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এজন্য অত্যন্ত ব্যস্ত আর বি সি রোড, অরবিন্দ রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। নদীয়া জুটমিল থেকে নৈহাটি পুরসভা পর্যন্ত আর বি সি রোডে কোনও গাড়ি চলাচল করেনি। পুলিস কমিশনার অলক রাজোরিয়া নিজে গোটা নৈহাটি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। বড়মার পুজোর জন্য স্থায়ী মন্দির বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছ’টা থেকে বন্ধ করা হয়। তা ফের খুলবে ৬ নভেম্বর। এদিন সন্ধ্যায় স্থায়ী মন্দিরে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুস্থতা কামনা করে যজ্ঞ করেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক।
বড়মা পুজো ট্রাস্টের সভাপতি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, লক্ষাধিক মানুষ দণ্ডি কেটেছে। অগুনতি মানুষ পুজো দিয়েছে। মানুষের ভিড়ে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে নৈহাটি।
এবারের ভিড় আগের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করলেন বড়মা পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য। শুধু বড়মা নয়, অন্যান্য পুজোগুলিতেও এদিন মানুষ ভিড় করে। তার মধ্যে নিউ স্টার ক্লাব, কাঠগোলা, লোহা গেট, হকার্স ইউনিয়নের পুজোতে বেশি ভিড় হয়।
গোটা বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোতেও মানুষের ঢল নেমেছে। মণিরামপুর, সদর বাজার, পানপুর, নৈহাটি, হালিশহর, কাঁচরাপাড়ায় মণ্ডপ এবং প্রতিমা দেখতে এদিন বিকেল থেকেই মানুষের ঢল নামে। মণিরামপুরে বটতলা স্পোর্টিং ক্লাব, মহাবীর সমিতির পুজো সকলের নজর কেড়েছে। এই অঞ্চলে বড় বড় মন্দির রয়েছে। সেখানে নিষ্ঠা সহকারে এদিন দীপান্বিতা কালীপুজো হয়। তার মধ্যে রয়েছে শ্যামনগরের মূলাজোড় ব্রহ্মময়ী কালী মন্দির, চৌরঙ্গী কালীবাড়ি, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, হালিশহরের রামপ্রসাদের ভিটে প্রভৃতি।