ব্যবসায়িক কাজকর্মের প্রসার, কেনাবেচা বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি। আঘাত ও রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে। ... বিশদ
প্রতি মুহূর্তে একাধিক রুটের বাস, অটো, লরি, ছোট-বড় গাড়ির চাপ লেগে থাকে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডে। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার পাশেই রয়েছে ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়াম। সামান্য বৃষ্টি হলে এই রাস্তায় প্রায় হাঁটু সমান জল জমে যায়। বৃষ্টি থেমে গেলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা জমে তাকে জল। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় বাসিন্দাদের। গত কয়েক মাস আগে রাস্তা অবরোধ করে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জমা জলের সমস্যা দূর করতে পুরসভার তরফে সেবার পাকাপাকি সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তা কথার কথাই থেকে গিয়েছে। এই রাস্তার বিস্তীর্ণ অংশ এখনও জলের তলায়। বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যালের মোড়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুজোর সময় রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেই কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ফলে জমা জলে উঠে গিয়েছে পিচের আস্তরণ। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ঝুঁকি নিয়ে চলছে বাইক, টোটো।
বেহাল অবস্থা শুধু ড্রেনেজ ক্যানাল রোডেই নয়, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক আবাসন ও বস্তি এলাকা এখনও জলের নীচে। সবথেকে খারাপ অবস্থা ইছাপুরের। এখানে বাড়িগুলির ভিতরে এখনও জল জমে রয়েছে। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘উত্তর হাওড়ার অধিকাংশ এলাকা থেকে জমা নেমে গিয়েছে। ড্রেনেজ ক্যানাল রোড সংলগ্ন এলাকার জমা জল সরাতে ২২ হর্স পাওয়ারের দু’টি অতিরিক্ত পাম্প চালানো হচ্ছে।’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল থেকেই পাম্প দু’টি চালানোয় ডাবল ব্যারেল চ্যানেল দিয়ে দ্রুত জমা জল বেরিয়ে হবে।