ব্যবসায়িক কাজকর্মের প্রসার, কেনাবেচা বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি। আঘাত ও রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে। ... বিশদ
বারাসত, মধ্যমগ্রাম, হাবড়া, অশোকনগরে রয়েছে একাধিক সোনার দোকান। কোথাও আবার নামী কোম্পানির শোরুমও রয়েছে। ধনতেরাসে স্বাভাবিকভাবেই ওই জায়গায় মানুষের আনাগোনা বাড়ে। বিভিন্ন দোকান এই সময় নানা অফার দিয়ে রকমারি গয়না রাখে শোরুমে। মূলত এই পর্বেই সোনার দোকানগুলিকে ‘টার্গেট’ করে দুষ্কৃতীরা। তাই আগেভাগেই সতর্ক করেছে পুলিস। তারা জানিয়েছে, দুপুরের দিকে সোনার দোকানগুলিকে টার্গেট করে দুষ্কৃতীরা। তাই ওই সময় বাড়তি নজরদারি করতে বলা হয়েছে। দোকানে প্রবেশ ও বেরনোর পথ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় উচ্চমানের সিসি ক্যামেরা বসাতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ক্যামেরার ওই মনিটর দোকানের বাইরে রাখতে বলা হয়েছে। কেননা, ভিতরে কোনও অঘটন ঘটলে তা বাইরে বসে দেখা যাবে। যাতে দ্রুত খবর দেওয়া যায় পুলিসকে। ফুটেজের ব্যাকআপ ক্লাউড স্টোরেজে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কালীপুজোর আগে থেকেই বাইরের বহু মানুষের আনাগোনা বাড়ে এই শহরগুলিতে। ফলে, সাঁড়াশি চাপে থাকে পুলিস। তাই আগেভাগে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। পুলিসের পরামর্শ, প্রতিটি গয়নার দোকানের মূল ফটক বন্ধ রাখতে হবে। দরজায় থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা ক্রেতাদের দেহ তল্লাশি করে ভিতরে ঢুকতে দেবেন। হেলমেট বা মাস্ক পরা অবস্থায় কাউকেই দোকানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গি বলেন, পুলিস জেলার সদর শহর বারাসত, মধ্যমগ্রাম, হাবড়া ও অশোকনগরে সোনার গয়নার একাধিক নামী শোরুম আছে। আগেভাগে এ নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মানুষের সুরক্ষায় বড় বড় সোনার দোকানগুলিতে নজরদারি চালানো হবে। ধনতেরাসের দু’দিন মোতায়েন করা হবে বাড়তি পুলিস। এছাড়াও পিঙ্ক মোবাইল, উইনার্স টিমও কাজ করবে। তবে সোনার দোকানে ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরা চালু রাখতে বলা হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে হবে।