সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
সেনকো গোল্ড লিমিটেডের এমডি ও সিইও শুভঙ্কর সেনের গলাতেও সেই আশার সুর। তিনি বলেন, ‘মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তরা কিছু না কিছু সঞ্চয় সবসময়ই করেন। সোনার গয়না বা মুদ্রা কেনাও সেই সঞ্চয়ের অঙ্গ। ফলে দাম বাড়লেও, তাঁরা সঞ্চয় করবেনই। সেক্ষেত্রে ধনতেরস তাঁদের কাছে পবিত্র ও উপযুক্ত সময়। ক্রেতাদের অনেকেই পুরনো সোনা এনে নতুন গয়না তৈরি করছেন। সোনার দাম বৃদ্ধি তাঁদের খুব একটা গায়ে লাগছে না। তাছাড়া আমরা নগদ ছাড় থেকে শুরু করে আইফোন বা গাড়ির জেতার মতো হরেক অফার দিচ্ছি। মোট কথা, ক্রেতাদের লাভবান করার সব রকম বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। তা তাঁদের খুশি করছে।’
এবারও ধনতেরসে যে রেকর্ড বিক্রি হবে, সেব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত বিশিষ্ট অলঙ্কার প্রতিষ্ঠান অঞ্জলি জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অনর্ঘ উত্তীয় চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, ‘সোনা এমন এক ধাতু, যা শুভ কাজে ব্যবহৃত হয়, আবার অসময়ে পাশে থাকে। যে কোনও আর্থিক প্রয়োজনে একমাত্র সোনা দ্রুত বিক্রি করে নগদ টাকা পাওয়া যায়। সাধারণ ক্রেতারা ধনতেরসের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। সমৃদ্ধির লক্ষ্যেই এদিন তাঁরা সোনা কিনে নিয়ে যান। হীরের কেনার উদ্দেশ্যও সেটাই। এক্ষেত্রে দামকে পিছনে ফেলে দেয় মানুষের আবেগ ও উৎসাহ।’ স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর দে’র কথায়, প্রায় সব দোকানই ধনতেরস উপলক্ষ্যে নানা আর্থিক ছাড় দেয়। চালু থাকে লাকি ড্র বা নিশ্চিত উপহারও। সোনার দাম বাড়লেও, ক্রেতারা এই সুযোগগুলি নেন এবং লাভবান হন। তাই এই ধনতেরসে ক্রেতাদের উৎসাহে ভাটা পড়ে না। এবারও তার অন্যথা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।