সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
পুরসভার নিকাশি বিভাগ সূত্রে খবর, ফোয়ারা মোড়, চাঁদনি মেট্রো, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো, এলগিন রোড সহ মোট ২৩টি এলাকায় জমা জল নামাতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেশিন, গাড়ি সহ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে ম্যানহোল এম্পটিয়ার, জেট কাম সাকশন মেশিন, ব্লো-ভ্যাক সহ বিভিন্ন ধরনের মেশিন এবং গাড়ি। যেগুলি দিয়ে বৃষ্টির সময় জল টেনে ট্যাঙ্কারে করে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র ফেলার ব্যবস্থা হবে। তৈরি করে দেওয়া হয়েছে ডিউটি রোস্টার। কোন অফিসার কোন অঞ্চলের দায়িত্বে থাকবেন, জমা জল কোথা থেকে তুলে কোথায় ফেলতে হবে, তা সব নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় রিপোর্ট পেতে তৈরি হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।
নিকাশি বিভাগের এক কর্তা বলেন, বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই কেন্দ্রগুলিতে ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালার জল টেনে অন্যত্র ফেলা হচ্ছে। যাতে, আগে থেকেই নিকাশি নালাগুলি খালি থাকে। জল সেভাবে জমতেই না পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গে। পুরসভা জানাচ্ছে, গঙ্গায় শুক্রবার ভোরে জোয়ার থাকবে। ফলে ভোর সাড়ে চারটে থেকে সকাল ন’টা পর্যন্ত গঙ্গা তীরবর্তী লকগেটগুলি বন্ধ রাখতে হবে। পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং ইতিমধ্যেই সমস্ত পাম্পিং স্টেশনে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা জারি করেছেন। তিনি বলেন, কলকাতায় জল জমে বিশাল বিপর্যয় হবে, এমন পরিস্থিতি এখনই নেই। নিকাশি পাম্পিং স্টেশনগুলি অনেক বেশি কার্যকর।
পলি তোলার ফলে নালাগুলির জলধারণ ক্ষমতাও অনেকটাই বেড়েছে। তবে জোয়ারের সময় ভারী বৃষ্টি হলে তখন শহরের রাস্তায় জল জমবে। কারণ, তখন লকগেটগুলি বন্ধ রাখতে হবে। জোয়ারে গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে জল ফেলা যাবে না। তখন সকালের দিকে খানিকটা সমস্যা হতে পারে। তবে পুরসভা প্রস্তুত রয়েছে। দ্রুত জমা জল নামিয়েও দেওয়া যাবে।