সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বারাকপুরের এক রেস্তরাঁ ব্যবসায়ীর কাছে হুমকি ফোন আসে। এর আগেও এই ব্যবসায়ীর কাছে হুমকি ফোন এসেছিল। পরে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এই অপরাধের যোগসূত্র ধরেই পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল সুবোধ সিংকে। জেলে বসেই সে অপরাধ জগৎ সামলাত। কমিশনারেটের কর্তাদের ধারণা ছিল, সুবোধকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই এই ধরনের অপরাধে লাগাম পরানো যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সেটা হয়নি। কারণ, সুবোধ এখন জেলে রয়েছে। তারপরও হুমকি ফোন পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে, এই গ্যাংয়ের পিছনে আরও কেউ রয়েছে বলেই কমিশনারেটের কর্তারা মনে করছেন।
প্রাথমিকভাবে কমিশনারেটের আধিকারিকদের অনুমান, মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত কেউ এই নতুন হুমকি ফোনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। শিল্পাঞ্চলে তার একাধিক বাহিনী রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। তাদের দিয়েই ব্যবসায়ীদের নানাভাবে চমকানোর চেষ্টা চলছে বলে অনুমান পুলিসের। তদন্ত নেমে পুলিস আরও জানতে পেরেছে, জেল থেকেই ব্যবসায়ীদের ফোন করা হয়েছে। ফোন ট্র্যাক করে সব কিছু হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিস। এর আগে সুবোধ বিহারের জেলে বসেই বেলঘরিয়ার রথতলা মোড়ে বারাকপুরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর গাড়িতে গুলি বৃষ্টি করিয়েছিল। এই শিল্পাঞ্চলে তার শাগরেদরা সেই কাজ করেছিল। সুবোধ গ্রেপ্তার হওয়ার পর জেলে থাকলেও সেই পুরনো ছকেই ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে মোটা টাকা চাওয়া হচ্ছে। ফলে, ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, সুবোধ গ্রেপ্তার হওয়ার পর আমাদের আশা ছিল, আর কোনও ভয় নেই। গত তিন মাস কিছুই হয়নি। কিন্তু কালীপুজোর আগে ফের হুমকি ফোন আসায় ফের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, বেশ কিছু সূত্র পেয়েছি। কাউকে ছাড়া হবে না।