কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
হাবড়া ১ নং ব্লকের কুমড়া পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্যা সঞ্চিতা বিশ্বাসের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এক গৃহবধূ। সঞ্চিতাদেবীর স্বামী জয়ন্ত বিশ্বাস কলকাতা পুলিসের গাড়ির চালক। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনা চাপা দিতে নির্যাতিতার উপর চাপ তৈরি করেন অভিযুক্তের স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত সদস্যা। এমনকী, টাকার বিনিময়ে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয় গৃহবধূকে। এর মধ্যেই ৯ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতা হাবড়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন জয়ন্ত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ঘটনা চাপা দিতে হুমকির অভিযোগ দায়ের হয় সঞ্চিতাদেবীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পরপর নির্যাতিতা ভাড়াবাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। কিন্তু সেখানে পরিবারের সদস্যদের তিনি পাশে পাননি। এসবের মধ্যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। গত শুক্রবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীকে কাঠগড়ায় তোলে মৃতার পরিবার। আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই জয়ন্ত, তাঁর স্ত্রী এবং মৃতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় হইচই শুরু হয়ে যায়। বিজেপি সহ বিরোধীরা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। সোমবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিতে হাবড়া থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি। এই আবহে তৃণমূল স্পষ্ট করে দিল, দল কোনওভাবেই অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়াবে না। হাবড়া ১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি জ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের দল এই ধরনের কাজ অনুমোদন করে না। ধৃত পঞ্চায়েত সদস্যার পাশে দল থাকবে না।’ তাঁকে বহিষ্কারের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। তবে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের জেলা সভাপতি। তিনি তাঁকে এ ব্যাপারে অবগত করেছেন।