কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
কিন্তু, খালাসির হাতে চাবি দিল কে? কে তাকে চালকের পরিবর্তে কাজ করার অনুমতি দিয়েছিল? পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও, কেন বাঁশদ্রোণীর দীনেশনগরের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় কাজের দায়িত্ব দেওয়া হল? এই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে বাঁশদ্রোণী থানা। পুরসভার তরফে যে কন্ট্রাক্টরকে ওই এলাকার রাস্তা মেরামতির কাজ দেওয়া হয়েছিল, তাঁকে তলব করে পুলিস। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে লালবাজার সূত্রে খবর। মঙ্গলবার ওই এলাকায় কোন চালক কাজ করেন? কেন বুধবার তিনি আসেননি? এই সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পেরেছে, স্থায়ী চালকের ছুটি থাকাতেই পে-লোডার চালানোর দায়িত্ব পড়ে খালাসির উপর। প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে পে-লোডার ছেড়ে চম্পট দিয়েছিল ওই চালক। মৃত কিশোর সৌম্য শীলের বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ওই খালাসির বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিস।
বুধবার সকালে চালকের গাফিলতিতে স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুতে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় দীনেশনগরে। উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন পাটুলি থানার ওসি তীর্থঙ্কর দে সহ অন্যান্য পুলিসকর্মীরা। পুলিসকে উদ্দেশ্য করে কাদাজল ছোড়া হয়। লালবাজারের দাবি, এই পরিস্থিতিকে আরও অশান্ত করে তুলতে এলাকায় ঢুকে পড়ে কিছু বহিরাগত। দফায় দফায় পুলিসকে হেনস্তার অভিযোগে মোট তিনটি মামলা রুজু করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিস। প্রথমত, ওসি পাটুলিকে নিগ্রহ। থানার সার্জেন্ট, পুলিসকর্মীদের আটকানো ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে দ্বিতীয় মামলা। একইসঙ্গে, ঘটনাস্থলে বহিরাগতরা ঢুকে পড়ে স্থানীয়দের সঙ্গে অশান্তি পাকানোর চেষ্টার জেরে আরও একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এই কেসে বুধবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় গত পুরনির্বাচনে ১১৩ নম্বরে ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রুবি দাসমণ্ডলকে। বেআইনি গ্রেপ্তারির আওয়াজ তুলে রাত থেকেই থানায় ধর্না দেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। পুলিসের দাবি, থানায় ঢুকে হাঙ্গামা পাকান রূপা। এর জেরে পৃথক মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপি নেত্রীকে। এদিন আলিপুর আদালত থেকে এক হাজার টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, পুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে বাঁশদ্রোণী কাণ্ড নিয়ে পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, মূল দুর্ঘটনার মামলায় তদন্ত চলছে। পুলিসকে হেনস্তাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রূপার গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে সিপি বলেন, তাঁকে জানানো হয়েছিল, থানায় ধর্না দিলে গ্রেপ্তার করা হবে। নিজস্ব চিত্র