কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
হাতিবাগান সর্বজনীন, কাশী বোস লেন, হাতিবাগান নবীন পল্লি, সিকদার বাগান— সব মণ্ডপের বাইরেই আমজনতার ইতিউতি আনাগোনা। সব মণ্ডপেই কমবেশি চলছে শেষ মুহূর্তের ফিনিশিং টাচ। জয়পুরিয়ার পড়ুয়া অনিকেত সামন্তের কথায়, টিভিতে দেখলাম উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। তাই ভাবলাম কলেজের পর বন্ধুরা মিলে ফাঁকায় ফাঁকায় ঠাকুর দেখে আসি। কিন্তু, এখানে এসে দেখলাম, প্যান্ডেলে এখনও আমজনতার প্রবেশ নিষেধ। তবে, বাইরে থেকে যতটা দেখা গেল, তাতেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হল। আবার আসব পুজোর মধ্যে।
অন্যদিকে, বেহালায় বিভিন্ন বড় পুজোর বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। জনসাধারণের জন্যও অবারিত দ্বার। ভিড় সেভাবে চোখে না পড়লেও অনেকেই উঁকি মেরেছেন প্যান্ডেলে, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের আগ্রহ দেখা গিয়েছে। অবশ্য বিকেল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। তার জেরেই প্রতিমা দর্শনে আগ্রহ কমে যায় বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। কসবা কিংবা দক্ষিণ কলকাতার পুজো মণ্ডপগুলিতে উৎসাহীদের আনাগোনা নজরে পড়ে। বিশেষ করে যাঁরা কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন, তাঁদের আগ্রহ ছিল সুযোগ পেলে ঠাকুর দেখা।
অন্যদিকে, প্রতিপদের সকালে শহরের ৯টি বড় পুজো প্যান্ডেল পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিস কমিশনার মনোজকুমার বর্মা। তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুলিস দুর্গাপুজো নিয়ে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, সবটাই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের শীর্ষ আধিকারিকরা বেশ কয়েকবার প্যান্ডেলগুলি পরিদর্শন করেছেন। এদিন চূড়ান্ত পর্যায়ে মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করলাম। যদি শেষ মুহূর্তে কোথাও কোনও কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, তা পর্যালোচনা করে উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।’ শহরবাসীকে শারদীয়ার শুভেচ্ছাও জানান পুলিস কমিশনার।
এদিন সকাল ১১টা থেকে চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সঙ্ঘ, বেহালা নতুন দল, দেশপ্রিয় পার্ক, ত্রিধারা সম্মিলনী, একডালিয়া এভারগ্রিন, বোসপুকুর শীতলা মন্দির, টালা প্রত্যয় ও কলেজ স্কোয়ার— এই ৯টি পুজো মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন নগরপাল। নগরপালের সঙ্গে মণ্ডপ পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত নগরপাল মুরলীধর শর্মা, যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদ ও স্থানীয় ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার সহ অন্য পদস্থ কর্তা ও দমকল, পুরসভা, সিইএসসির প্রতিনিধিরা।