কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিমতার ফতুল্লাপুরের গোলবাগান আব্দুল আজিজ রোডের বাসিন্দা সুরজ। তাঁর স্ত্রীর নাম সায়মা বিবি। পেশায় ব্যবসায়ী সুরজের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর মাঝেমধ্যেই অশান্তি হতো। বছর দুই আগে সায়মা স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় বধূ নির্যাতনের মামলাও করেছিল। পরে অবশ্য তা মিটে যায়। বছর দুয়েক আগে এই দম্পতির ছেলে মহম্মদ মিরাজের সঙ্গে পোলেরহাটের এক যুবতীর বিয়ে হয়। এরপরই নতুন করে শুরু হয় অশান্তি। বেয়াইয়ের সঙ্গে সায়মা বিবি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তাই নিয়ে সুরজের সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা হতো। সেইমতো কয়েক দিন আগে বাড়িতে প্রচণ্ড অশান্তি হয়। গত মঙ্গলবার স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে নাবালক বোনকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিল মিরাজ। বাড়িতে ছিল সুরজ ও সায়মা। ওই রাতে খাবারের সঙ্গে সায়মা বিষ মিশিয়ে স্বামীকে খাইয়ে দেয়। এরপর সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। গত দু’দিন ধরে সায়মা বারাকপুরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে। বৃহস্পতিবার সকালে সে নিমতা থানায় হাজির হয়ে স্বামীকে খুন করার কথা জানায়। সেইমতো পুলিস তাদের বাড়িতে পৌঁছে ঘর থেকে সুরজের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ছেলে ও মেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে।
মৃতের মেয়ে বলেন, এদিন সকালে মা মামাতো ভাইকে ফোন করেছিল। বলেছিল, বাবাকে খুন করেছে। থানায় আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। তার থেকেই আমরা জানতে পারি। বাড়িতে এসে দেখি বাড়ির সামনে লোকজন জড়ো হয়ে আছে। প্রতিবেশী তসলিমা বিবি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের পর ওই বাড়িতে কাউকে দেখিনি। ভেবেছিলাম কোথাও গিয়েছে। সকালে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি পুলিস আসায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে দেখি ঘরের মধ্যে সুরজের দেহ পড়ে আছে। আমরা অভিযুক্তের কঠোর সাজা চাই। পুলিস জানিয়েছে, সায়মা বিবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মৃতের ছেলের শ্বশুরের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।