কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক বছরখানেক আগে ওই বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও ওই শিক্ষকের হুমকির ভয়ে ছাত্রীটি বাড়িতে কিছু বলতে পারেনি। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, মেয়ে মঙ্গলবার স্কুলে গেলে ওই শিক্ষক তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। বিকেলে মেয়ে বাড়ি ফিরে ছোট কাকিমাকে বিষয়টি জানায়। পরে তিনি বিষয়টি আমাকে ও পরিবারের অন্যদের বলেন।
এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হলেও বুধবার বিদ্যালয় ছুটি থাকায় কেউ আসেনি। বৃহস্পতিবার ছাত্রীর পরিবার ও গ্রামের লোকজন বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের খোঁজ করেন। কিন্তু তিনি এদিন না আসায় গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফোন করে তাঁকে আসতে বারণ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এরপর গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিস গিয়ে শিক্ষকদের উদ্ধার করে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর সার্কেল ইনসপেক্টরকে বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেন কৃষ্ণ ঘোষ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি এই সব ঘটনার কথা জানতাম না। বৃহস্পতিবার স্কুলে আসার পর জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ও ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।