কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
মৌমিতার বাড়ি হাবড়া থানা এলাকার হিজলপুকুরে। তাঁর বাবা বিষ্ণু ওঝা ও জেঠুর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে কচুরি বিক্রি করতেন। লকডাউনের সময় তাঁদের ব্যবসা আলাদা হয়ে যায়। তখন তিনি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। হঠাৎ বাবার লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তখন বাবাকে সাহায্য করতে মাঝেমধ্যে দোকানে যেতেন মেয়ে। বাবা সুস্থ হলে পড়াশোনায় মন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হয়নি। মৌমিতা বলেছেন, ‘বাবার কাশি হলে মুখে রক্ত উঠে আসত। বহু চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারিনি। ২০২১ সালের জুলাইয়ে মৃত্যু হয়। তারপর সংসারে অনটন দেখা দেয়। মা আর আমার বাঁচার জন্য দোকান চালানো ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। তাই কচুরি বানানো শুরু করি।’ বাবা না থাকায় একা ব্যবসা চালানো শুরুতে সহজ ছিল না মৌমিতার। একসময় বেচাকেনাও প্রায় বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি হয়। কিন্তু দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে গিয়েছেন। উচ্চশিক্ষা শেষে করে কচুরি ব্যবসাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর দোকানে সাত কর্মী। কর্মীদের পরিবার এই দোকানের উপর নির্ভরশীল। তাই যেভাবে হোক দোকান বাঁচিয়ে রাখতে চান তিনি। তাঁর মা কল্পনা ওঝা বলেন, ‘এই দোকানের উপর ভরসা করে আমাদের সংসার চলে। মেয়ে খুব কষ্ট করে দোকান ফের দাঁড় করিয়েছে। ওর জন্য গর্ব হয়।’