কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
পুজোর দিনগুলিতে রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ১০-১৩ অক্টোবর, পুজোর চারদিন দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হতে পারে। দ্বিতীয় দফার বিশেষ পূর্বাভাসে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। কলকাতার ক্ষেত্রে এই সময়ে শুধু হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাই বলা হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুজোর দিনগুলিতে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকতে পারে। তবে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় থাকবে ভ্যাপসা গরমভাব। আগামী সোমবার পুজোর দিনগুলির জন্য ফের একটি বিশেষ পূর্বাভাস জারি করবে আবহাওয়া অফিস।
আজ, শুক্রবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। উত্তর-পূর্ব বিহার থেকে উত্তর আন্দামান সাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত আছে। এটি পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এবং উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বেড়েছে। কলকাতায় সারাদিন ধরে আকাশ মেঘলা ছিল এবং ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে।
শুক্র ও শনিবার দক্ষিণবঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হবে। দুই ২৪ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টিও হতে পারে কোনও কোনও স্থানে।
উত্তরবঙ্গজুড়েও হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হবে এই দু’দিন। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোনও কোনও জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার জন্য।
আবহাওয়া অধিকর্তা জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতে নিম্নচাপের প্রভাব বেশি পড়বে। তবে এই নিম্নচাপটি আগেরটির মতো শক্তিশালী হবে না। সমুদ্রে অবস্থানকালেই এটি শক্তি হারাতে পারে।