বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত মিনাখাঁ থানা এলাকার ঘটকপুকুরের একটি রিসর্টে। এদিন দুপুরে সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন এক প্রৌঢ়। নাম সুশান্ত হালদার (৫৬)। কলকাতার তপসিয়া থানা এলাকার ট্যাংরার বাসিন্দা তিনি। যুবতী বান্ধবী তৃষ্ণা দাসের সঙ্গে সেখানেই চারদিন ছিলেন প্রৌঢ়। মুখ থেকে গ্যাঁজলা বের হওয়ায় অচৈতন্য ওই প্রৌঢ়কে রিসর্ট থেকে গাড়িতে চাপিয়ে দ্রুত ভাঙড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়। খবর পেয়েই ভাঙড় থানায় ছুটে যান মৃতের স্ত্রী সুস্মিতা হালদার। হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সুশান্তর বান্ধবীই তাঁকে খুন করেছে। যদিও থানায় লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এই ঘটনায় বান্ধবী তৃষ্ণা দাসকে আটক করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রের খবর, তৃষ্ণা ও সুশান্ত দু’জনেই বিবাহিত। মাস কয়েক হল তাঁদের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে ঘটকপুকুরের ওই রিসর্টে সুশান্ত ও তৃষ্ণা একসঙ্গেই ছিলেন। রবিবার দুপুরে খাওয়ার পর আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন সুশান্ত। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যুর হয় তাঁর। তরুণীই তাঁকে ভাঙড় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মৃত ঘোষণা করার পর সুশান্তর এক বন্ধুকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান তৃষ্ণা। সেই সূত্রেই জানতে পারেন সুস্মিতা। তপসিয়া থেকে সন্ধ্যায় হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। এরপর কীভাবে মিনাখাঁর রিসর্টে গেলেন সুশান্ত, তা নিয়ে তৃষ্ণার সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। তাঁদের অবৈধ সম্পর্কের কথা ওখানেই জানতে পারেন সুস্মিতা। কিন্তু, তা বিশ্বাস করতে চাননি। বরং তৃষ্ণাই তাঁর স্বামীকে খুন করেছে, দাবি করেন গৃহবধূ। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। তার জেরে ঘটনাস্থলে যায় ভাঙড় থানার পুলিস। সন্ধ্যাতেই ওই রিসর্টে যান সুস্মিতা। তৃষ্ণার সঙ্গে তাঁর স্বামী ছিলেন কি না, তা যাচাই করেন মৃতের স্বামী।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, সুস্মিতা রাত পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগপত্র জমা দেননি। অভিযোগ পেলে তা জিরো এফআইআর করে মিনাখাঁ থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, মিনাখাঁ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।